পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
Published: 16th, February 2025 GMT
অপারেশন ডেভিল হার্ট অভিযানে পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবীর।
এর আগে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার ভজনপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ।
আলমগীর কবির তেঁতুলিয়া উপজেলার গনাগছ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা তসির উদ্দিনের ছেলে। তিনি পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.
তাকে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে এক ব্যবসায়ী কর্তৃক দায়েরকৃত হামলা ও ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবীর বলেন, “আলমগীর কবিরকে শনিবার রাতে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়।”
ঢাকা/নাঈম/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যতটুকু শুনেছি, এপ্রিলের মাঝামাঝি দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল
আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, লন্ডনে ভালো আছেন খালেদা জিয়া। তিনি সেখানেই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছেন।
আজ রোববার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ উনি (খালেদা জিয়া) লন্ডনে এখন বেটার আছেন। আজ সেখানে ঈদ উদ্যাপিত হচ্ছে। এই ঈদ ফ্যামিলির সঙ্গে আট বছর পরে উনি উদ্যাপন করছেন। দিস ইজ আ গুড থিংক ফর আস।’
খালেদা জিয়া কবে আসবেন—এ রকম প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম সম্ভবত যতটুকু শুনেছি আমি, ফাইনাল নিশ্চিত না...এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দেশে ফিরবেন।’
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ সংবাদ সম্মেলেন খালেদা জিয়ার কারাগারজীবন প্রসঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের লিভার সিরোসিস হয়েছে জেলখানার মধ্যে। সেখানে তাঁর কোনো চিকিৎসা হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি যে কারগারে তাঁকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে। এটা যদি ম্যাডামকে জিজ্ঞাসা করেন, উনি বলবেন না। কারণ, উনি সেই ধরনের মানুষ নন...একবারের জন্য বলবেন না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামকে যে ঘরে রাখা হয়েছিল, সেই ঘরটা ছিল স্যাঁতসেঁতে, সমস্ত দেয়ালের আস্তর ভেঙে ভেঙে পড়ছিল এবং ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি করত...এ রকম অবস্থা ফেস করেছেন আমাদের ম্যাডাম। এরপরও...আমি বেশি বলতে চাই না যে কাদম্বিনীকে মরিয়া প্রমাণ করতেই হইবে যে সে মরে নাই। এখন নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে।’
২০১৮ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। করোনার সময় সরকার তাঁকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। কারাবন্দী অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।