২০ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে শুরু হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম আলট্রা-ম্যারাথন ‘কোস্টাল আলট্রা ২০২৫’। ২০০ কিলোমিটার দূরত্বের এই আলট্রা–ম্যারাথন চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

‘সমুদ্র বাঁচাও, পৃথিবী বাঁচাও’ প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিনের এই আলট্রা–ম্যারাথনের আয়োজন করেছে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ’।
আলট্রা-ম্যারাথন বা আলট্রা রান হচ্ছে একধরনের দীর্ঘ দূরত্বের দৌড়, যেখানে গতানুগতিক ম্যারাথন দৌড়ের দূরত্ব ৪২.

১৯৫ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের দৌড় আয়োজন করা হয়ে থাকে।

এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট দূরত্বের আলট্রা-ম্যারাথন হচ্ছে ৫০ কিলোমিটার। কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের আলট্রা–ম্যারাথনে দৌড় হবে ৫০ কিলোমিটার, ১০০ কিলোমিটার, ১০০ মাইল ও ২০০ কিলোমিটার বিভাগে।

কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের দৌড়ের ইতিহাসে এই প্রথম ২০০ কিলোমিটার দূরত্বের আলট্রা-ম্যারাথন আয়োজিত হতে চলেছে। এ আয়োজনে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করবেন।

তাঁদের সহায়তার জন্য থাকছেন ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক। চার ক্যাটাগরির এই ম্যারাথনে কোনো নিবন্ধন ফি নেই, অংশগ্রহণকারীদের সব সেবা বিনা মূল্যে দেওয়া হবে।

আলট্রা–ম্যারাথন আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় আছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০০ ক ল ম ট র আলট র

এছাড়াও পড়ুন:

ন্যাশনাল অ্যানাটমি অলিম্পিয়াডে সালমান ও জেবুন্নেসা চ্যাম্পিয়ন

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল অ্যানাটমি অলিম্পিয়াডে এমবিবিএস ক্যাটেগরিতে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সালমান তারেক। প্রতিযোগিতায় বিডিএস ক্যাটেগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী জেবুন্নেসা রিয়া। 
গত শুক্রবার সকালে নগরের ফয়’স লেকের সি ওয়ার্ল্ডে ৮০ জন প্রতিযোগীর লড়াইয়ে এ দু’জন চ্যাম্পিয়ন হন।
এ ছাড়া এমবিবিএস ক্যাটেগরিতে প্রথম রানারআপ হন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী লাবিবা ফাইরুজ এবং দ্বিতীয় রানারআপ হন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আবরার বিন শফি। বিডিএস ক্যাটেগরিতে রানারআপ হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষার্থী নাহমির ইসলাম চৌধুরী। বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন অতিথিরা। 
মেডিকেলভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়াই স্যাব-এর একাডেমিক প্ল্যাটফর্ম ‘হেলথ স্কুল’ ও  স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এপিক হেলথ কেয়ারের যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল অ্যানাটমি অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গেস্ট অব অনার ছিলেন সরকারের স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান। কি নোট স্পিকার ছিলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. সাকলায়েন রাসেল ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার। বিশেষ অতিথি ছিলেন এপিক হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এসএম লোকমান কবির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এসএম আবু সুফিয়ান, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আনোয়ার হোসেন। অলিম্পিয়াড সঞ্চালনা করেন ওয়াই স্যাবের  প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সুলতানা রুমা আলম। উপস্থিত ছিলেন হেলথ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ। 
প্রধান অতিথি ডা. শাহাদাহ হোসেন বলেন, ‘অ্যানাটমি অলিম্পিয়াড দেশে প্রথম হচ্ছে এবং এটি হচ্ছে চট্টগ্রামে আর আমি এই চট্টগ্রাম শহরের মেয়র। আমি একজন চিকিৎসক। তাই চিকিৎসক হিসেবে এটি আমার জন্য গর্বের। আমার জন্য প্রথম অভিজ্ঞতাও। তাই আমি আয়োজকদের কাছে আশা করব, এমন সৃষ্টিশীল আয়োজন আগামীতেও যেন অব্যাহত থাকে।’
ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, এনাটমি অলিম্পিয়ার্ডে চিকিৎসা পেশায় উৎসাহমূলক অনেক কথাই আলোচন হয়েছে। এখানে চিকিৎসা পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে নির্দেশনা এবং নানা কৌশলের কথাও আসছে। তাই আমি মনে করি মেডিকেল শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন থেকে চিকিৎসা পেশা নিয়ে মৌলিক অনেক ধারনা অর্জন করতে পারছেন।
বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার বলেন, চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিতদের গুরুত্বপূণ একটি অনুষঙ্গ মেডিকেল এথিকস। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এনাটমি অলিম্পিয়াডের মত একটি অনুষ্ঠানে মেডিকেল এথিকস নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এটি তাদের শিক্ষা এবং পেশা জীবনে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।   
এপিক হেলথ কেয়ারে চেয়ারম্যান প্রকৌশলী লোকমান হাকিম বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। এ আয়োজনে পাশে থাকতে পেরে আমরা ধন্য মনে করছি। আগামীতেও এমন সৃজনশীল আয়োজনে এপিক পাশে থাকবে। একই সঙ্গে আগামীতে আয়োজনটি বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা করা হবে।  
প্রসঙ্গত, মেডিকেল ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওয়াই স্যাব এর একাডেমিক প্ল্যাটফর্ম ‘হেলথ স্কুল’ প্রতিযোগীতায় এবার প্রথম পর্যায়ে দেশের ৮ বিভাগের ১২০টি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চলে বাছাই পর্ব। নির্বাচিত ৮০ জনকে নিয়ে শুক্রবার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ন্যাশনাল অ্যানাটমি অলিম্পিয়াডে সালমান ও জেবুন্নেসা চ্যাম্পিয়ন
  • বান্দরবানে প্রথমবারের মতো ২১ কি.মি. হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
  • ‘বাঘা’ শরীফের বাজিমাত