পাবনায় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অভিযোগ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে
Published: 16th, February 2025 GMT
পাবনায় জামায়াতে ইসলামীর একটি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের নেতা–কর্মীরা। এ ঘটনায় আজ রোববার বিকেলে ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে বিএনপির স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
জামায়াতের নেতা–কর্মীরা অভিযোগ করেন, গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার হিমাইতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই জমি নিয়ে স্থানীয় জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ করিমের সঙ্গে জেলা সদরের মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর লোকজনের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১০টার দিকে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা করা হয়। হামলাকারী ব্যক্তিরা কয়েকটি দোকানপাট, জামায়াতের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় ও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ করিম অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট থেকেই মালিগাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে দখলদারি ও আধিপত্য বিস্তার চলছিল। তাঁর নির্দেশেই নিজেদের শক্তি জানান দিতে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল রাত ১০টার দিকে ২৫–৩০ জন অস্ত্রধারী পিস্তল, বন্দুক, রামদা, চায়নিজ কুড়াল নিয়ে হিমাইতপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ি স্থানীয় জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। তারা একটি মুদিদোকান ভাঙচুর করে লুট করে। এ ছাড়া অটোরিকশার গ্যারেজ ও জামায়াত নেতা আবদুল করিমের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাশে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলে যায়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী বলেন, ‘এ ঘটনা আমি মোটেও জানি না। ঘটনার সময় থানার ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিই। এর বেশি কিছু জানা নেই। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে আমার ওপর মিথ্যা দায় চাপানো হচ্ছে। আমি এর প্রতিবাদ করছি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা ও ভাঙচুরের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে গুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
র্যাঙ্কিংয়েও সুখবর, ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ অবস্থানে নিগার, শারমিন ও রাবেয়া
ভালো খেলার স্বীকৃতি নগদেই পেলেন নিগার সুলতানা, শারমিন আক্তার ও রিতু মনি। পাকিস্তানে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটি করা অধিনায়ক নিগার ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার–সেরা অবস্থানে উঠেছেন।
ক্যারিয়ার–সেরা অবস্থানে উঠেছেন থাইদের বিপক্ষে ৯০ ছাড়ানো শারমিনও। আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে রিতু মনিও সামনে এগিয়েছেন। আর বোলিংয়ে ক্যারিয়ার–সেরা অবস্থানে উঠেছেন রাবেয়া খান।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫২ রানের জুটি গড়েছিলেন নিগার ও শারমিন। নিগার করেছিলেন ১০১ রান। শারমিন অপরাজিত ৯৪ রান। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ করেছিল নিজেদের রেকর্ড ২৭১ রান। এরপর থাইল্যান্ডকে ৯৩ রানে অলআউট করে ১৭৮ রানে জেতে বাংলাদেশের মেয়েরা। রানের হিসাবে মেয়েদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এটাই সবচেয়ে বড় জয়।
পরের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫১ রান করা নিগার ১৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ১৭ নম্বরে। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ করা শারমিন ১১ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৯ নম্বরে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা রিতু ১৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৮৮ নম্বরে। রিতু ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ৫৭ নম্বরে উঠেছিলেন।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রাবেয়া খান সাত ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৩ নম্বরে। এটিই তাঁর সেরা অবস্থান। তিন ধাপ এগিয়ে ৪৮ নম্বরে উঠেছেন আরেক লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন। পেসার মারুফা আক্তার ৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৬০ নম্বরে।
মেয়েদের ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর ব্যাটার দক্ষিণ আফ্রিকার লরা ভলভার্ট, বোলার ইংল্যান্ডের সোফি একলেস্টোন ও অলরাউন্ডার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশ গার্ডনার।