মৃত্যুবার্ষিকীতে জেনারেল ওসমানীকে শ্রদ্ধা জানাল সেনাবাহিনী
Published: 16th, February 2025 GMT
মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। আজ রোববার ১৭ পদাতিক ডিভিশনের মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান সামরিক মর্যাদায় শাহজালাল (রহ.) মাজার সংলগ্ন জেনারেল ওসমানীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে জেনারেল ওসমানীর আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
গার্ড অব অনারকালে সিলেট এরিয়ার সব ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনীর অন্যান্য পদবীর সদস্যরা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সিলেটে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে নগরীর জিন্দাবাজারে নজরুল একাডেমিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করে বঙ্গবীর ওসমানী জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উদযাপন পরিষদ জাতীয় কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান। বক্তব্য দেন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এম এ মতিন, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটর্স জার্নালিষ্ট কমিশনের সভাপতি ফয়সল আহমদ বাবলু, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মো.
জেনারেল ওসমানী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় হযরত শাহজালাল মাজারে সমাহিত করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে সরকারে পালাবদল হয়। কিন্তু তার মৃত্যুবাষিকী পালিত হয় অনেকটা অগোচরে। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি করা হলেও তা উপেক্ষিত থাকে।
এ ব্যপারে সংগঠনের সভাপতি আতাউর রহমান সমকালকে বলেন, আমরা জাতি হিসাবে খুবই লজ্জিত। একজন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্টীয়ভাবে পালনের জন্য আমাদেরকে এখনো দাবি জানাতে হচ্ছে। আমাদের এই দাবি যতদিন পর্যন্ত মানা না হবে, আমরা দাবি জানিয়ে যাব।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ন র ল ওসম ন ওসম ন র
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়াকে খর্বশক্তির মানতে নারাজ স্মিথ
আজ (২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) লাহোরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযান শুরু করছে অস্ট্রেলিয়া। আইসিসির যেকোন বৈশ্বিক আসরেই অন্যতম ফেবারিট অজিরা। তবে কাগজে-কলমে স্মরনকালে সবচেয়ে দুর্বল স্কোয়াড নিয়েই এবারের আইসিসি বৈশ্বিক আসরে এসেছে অজিরা।
খর্বশক্তির অস্ট্রেলিয়া এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চোটের কারণে পাচ্ছে না তাদের নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স সহ নিয়মিত একাদশের ৫ ক্রিকেটারকে। তাছাড়া অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ, পেসার জশ হ্যাজলউড এবং মিচেল স্টার্ক ছিটকে গিয়েছেন চোটের কারণে। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি শুরু হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক আগে ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা স্টিভেন স্মিথ অবশ্য নিজেদের খর্ব শক্তির মানতে নারাজ। উল্টো স্মরণ করিয়ে দিলেন আইসিসির আসরে নিজেদের শক্ত মানসিকতার কথা। স্মিথ বলেন, “আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়ার সেরাটা বের হয়ে আসে বড় টুর্নামেন্টের চাপে। যদিও বিগত ১০ বছর আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করতে পারিনি। যেমন, গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। আমি বেশ রিল্যাক্সড আছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ও বড় টুর্নামেন্টে সবসময়ই চাপ থাকে। অবশ্যই আমরা দারুণ কয়েকজন ফাস্ট বোলারকে পাচ্ছি না। তবে সেসব নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।”
আরো পড়ুন:
অনভিজ্ঞ অজি বোলিংয়ের সামনে ক্ষুধার্ত ইংল্যান্ড
‘যেভাবে খেলতে চেয়েছিলাম সেভাবে আমরা পারিনি’
গত আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ২ ম্যাচ হেরে গিয়েছিল তারা। তবে ৩ ম্যাচের গ্রুপ পর্বের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেই সুযোগ নেই। তাই ভিন্ন কৌশ্লের কথা জানালেন স্মিথ, “আমরা জানি যে, কখনও কখনও বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে নিজেদের ছন্দ খুঁজে পেতে কিছুটা সময় লাগে আমাদের, গত কয়েকটি বিশ্বকাপে যেমন হয়েছে। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সংক্ষিপ্ত টুর্নামেন্ট। মাত্র তিনটি লিগ ম্যাচ এখানে। একদম প্রথম থেকেই তাই সজাগ থাকতে হবে। দলের ভেতরে তাই আমাদের জন্য বার্তা হলো, আমরা শুরু করছি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে।”
অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি হিসেবে দুই ম্যাচের সিরিজে খেলেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। যেখানে হোয়াইটওয়াশ হয় স্মিথ বাহিনী। তবে এই খর্বশক্তির অজিদেরও সমীহ করছে ইংল্যান্ড। ইংলিশ কাপ্তান জস বাটলার। এই কিপার-ব্যাটারের ধারণা বদলি অজি ক্রিকেটারদের সামর্থ্য আছে ভালো কিছু করার। বাটলার বলেন, “তাদের (নিয়মিত পেসারদের বদলে যারা এসেছে) খুব ভালো সামর্থ্য আছে ওই ঘাটতি পূরণের।”
এই ম্যাচে যে দল জিতবে, তাদের সামনেই বেশি সুযোগ সেমি ফাইনালে ওঠার। কারণ অন্যদুই প্রতিপক্ষ যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আফগানিস্তান। কন্ডিশন বিবেচনায় প্রোটিয়াদের হারানো বেশ কঠিনই অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের জন্য। তাই দুদলই চাচ্ছে আজকের ম্যাচটা জিতে শেষ চারের দৌড়ে এগিয়ে থাকার।
ঢাকা/নাভিদ