মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। আজ রোববার ১৭ পদাতিক ডিভিশনের মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান সামরিক মর্যাদায় শাহজালাল (রহ.) মাজার সংলগ্ন জেনারেল ওসমানীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে জেনারেল ওসমানীর আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়। 
গার্ড অব অনারকালে সিলেট এরিয়ার সব ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনীর অন্যান্য পদবীর সদস্যরা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে সিলেটে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে নগরীর জিন্দাবাজারে নজরুল একাডেমিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করে বঙ্গবীর ওসমানী জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ। 

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উদযাপন পরিষদ জাতীয় কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান। বক্তব্য দেন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এম এ মতিন, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটর্স জার্নালিষ্ট কমিশনের সভাপতি ফয়সল আহমদ বাবলু, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মো.

খালেদ মিয়া, প্রচার সম্পাদক মো. ইউসুফ সেলু, আব্দুল ওয়াদুদ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শিরিন চৌধুরী, সাহেদা বেগম প্রমুখ। এছাড়া ওসমানী স্মৃতি পরিষদ ও ওসমানী জাদুঘরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়।

জেনারেল ওসমানী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় হযরত শাহজালাল মাজারে সমাহিত করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে সরকারে পালাবদল হয়। কিন্তু তার মৃত্যুবাষিকী পালিত হয় অনেকটা অগোচরে। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি করা হলেও তা উপেক্ষিত থাকে।

এ ব্যপারে সংগঠনের সভাপতি আতাউর রহমান সমকালকে বলেন, আমরা জাতি হিসাবে খুবই লজ্জিত। একজন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্টীয়ভাবে পালনের জন্য আমাদেরকে এখনো দাবি জানাতে হচ্ছে। আমাদের এই দাবি যতদিন পর্যন্ত মানা না হবে, আমরা দাবি জানিয়ে যাব।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ন র ল ওসম ন ওসম ন র

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতি ও দুঃশাসন করে কেউ টিকে থাকতে পারে না: লক্ষ্মীপুরে জামায়াতের আমির

লক্ষ্মীপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দুর্নীতি ও দুঃশাসন করে কেউ টিকে থাকতে পারে না। অতীতে সোনার বাংলা গড়ার নামে শোষণ হয়েছে, কিন্তু এখন এমন রাজনীতি করা যাবে না, যাতে পেশিশক্তির মতো দেশ ছেড়ে পালাতে হয়।

শনিবার সকাল ১১টায় লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর লক্ষ্মীপুরে আয়োজিত এই জনসভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, কুমিল্লা মহানগর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ডা. রেজাউল করিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এড. আতিকুর রহমান ও ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর ফোরামের সভাপতি ডা. আনোয়ারুল আজীম প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, দেশে এখনো চাঁদাবাজি চলছে। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলছি, এসব বন্ধ করুন। যদি কেউ খাদ্য সংকটে থাকে, আমরা তার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করব।

জুলাই বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির। জনসভায় দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ