জেনেভাভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশন (গেইন) বাংলাদেশে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় সিনিয়র প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট, পলিসি অ্যান্ড ফুড সিস্টেমস পদে কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: সিনিয়র প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট, পলিসি অ্যান্ড ফুড সিস্টেমস

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাগ্রিকালচার, অর্থনীতি, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে একই পদে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলাদেশের ফুড সিস্টেম সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। মন্ত্রণালয়, জাতীয় বা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। উপস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে। এমএস অফিস ও পাওয়ার পয়েন্টের কাজ জানতে হবে। ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

কর্মস্থল: ঢাকা, তবে হোম অফিসের সুযোগ আছে।

বেতন: বছরে ৯,০২,৯১৬ থেকে ১০,২৮,৯১৬ টাকা (তবে বেতন অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করবে)

সুযোগ-সুবিধা: বছরে ৩৭ দিন ছুটি (বার্ষিক ছুটি, সরকারি ছুটি ও অফিস ছুটি), মাতৃত্বকালীন ছুটি, ২০ দিন পিতৃত্বকালীন ছুটি, উৎসব বোনাস, পেনশন স্কিম এবং স্বাস্থ্য, ভ্রমণ ও জীবনবিমা, ছুটি ভাতা, যোগাযোগ ভাতা, প্রশিক্ষণ ও বছরে বেতন বৃদ্ধির সুযোগ আছে।

আরও পড়ুনসমরাস্ত্র কারখানায় চাকরি, পদ ২২০৮ ঘণ্টা আগেআবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীরা দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশনের ওয়েবসাইটের লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত জেনে APPLY NOW বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।

আরও পড়ুনট্রাকচালক থেকে মহাকাশ প্রকৌশলী তিনি৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লম্বা ছুটি, সড়ক ভালো ভয় শুধু বিশৃঙ্খলায়

ছুটি টানা ৯ দিন। সড়ক-মহাসড়কের ৭৫ শতাংশের অবস্থা ভালো। তবু বিশৃঙ্খলার কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির ভয় থেকেই যাচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর পুলিশ পুরোপুরি সক্রিয় না থাকার সুযোগে সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়ানো লাখো ব্যাটারিচালিত রিকশায় যানজটের শঙ্কা রয়েছে। সড়ক দখল করে বসা বাজারও ভোগান্তির কারণ হতে পারে। শিল্পকারখানায় বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষ, গত কয়েক মাসে কারণে-অকারণে সড়ক বন্ধ করে আন্দোলনের নজিরও ঈদযাত্রায় ভীতি কাজ করছে। 

ঢাকা ছাড়তেই যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়তে পারেন গাবতলী, সায়েদবাদ, টঙ্গী এবং হানিফ ফ্লাইওভারে। গাবতলী, সায়েদবাদ ও টঙ্গী এলাকায় দেখা গেছে, ঢাকার প্রবেশপথে হাজার হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। এতে বাসের গতি আটকে যাচ্ছে। গত বছরের দুই ঈদেই ভুগিয়েছে হানিফ ফ্লাইওভার। এ ফ্লাইওভার হয়ে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে ভোগান্তিতে পড়েন। এবারও একই শঙ্কা রয়েছে। 

শিল্পকারখানা ছুটির পর শনিবার যাত্রীর ঢল ধরতে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ঢাকার লোকাল বাস মহাসড়কে নামলে গাজীপুরের চন্দ্রা ও চৌরাস্তা এলাকায় এবারও অচলাবস্থা হতে পারে। এতে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়তে পারেন। এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পথ চার লেনে উন্নীত হলেও সেতুতে গাড়ি বিকল হয়ে এবারও ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে। এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক গত ২২ মার্চ খুললেও সিরাজগঞ্জে ইন্টারচেঞ্জের নির্মাণ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগ পিছু ছাড়বে না।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং আশুগঞ্জ-সরাইল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আখাউড়া মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান থাকায় নরসিংদী ও আশুগঞ্জ এলাকায় দুর্ভোগে পড়তে হবে সিলেটের যাত্রীদের। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সমকালকে বলেন, ঈদযাত্রায় ফিটনেসহীন গাড়ি চলতে পারবে না। ধরা পড়া মাত্র কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকার লোকাল গাড়ি ঈদে মহাসড়কে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে, বিকল হয়ে যানজট সৃষ্টি করে। রুট পারমিট লঙ্ঘন করে কোনো গাড়ি মহাসড়কে গেলে নিবন্ধন বাতিল করে দেওয়া হবে। যেসব প্রস্তুতি রয়েছে, তাতে ঈদযাত্রা আগের চেয়ে ভালো হবে। 

দেখা সাপেক্ষে সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। শুক্রবার থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ঈদের ছুটি। গতকাল বুধবার ছিল স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। মাঝে শুধু এক দিন আজ বৃহস্পতিবার সরকারি অফিস-আদালত খোলা। এবারের রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি থাকায় অনেকেই আগেভাগে বাড়ি চলে গেছেন। গতকাল বাস-ট্রেনে ভিড় দেখা যায়নি। মহাসড়কে বড় ধরনের যানজটের খবরও পাওয়া যায়নি। 

উত্তরবঙ্গের পথে তবু ভয়
প্রতিবছরই শেষ কর্মদিবসে অচল হয়ে পড়ে চন্দ্রা এলাকা। গত বছর ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগেছিল নবীনগর থেকে চন্দ্রা হয়ে যমুনা সেতুতে পৌঁছাতে। হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন মিয়া সমকালকে বলেন, এবারও বিশেষ মনোযোগ রয়েছে চন্দ্রা নিয়ে। এলেঙ্গা-যমুনা সেতু সড়কে যদি চাপ বাড়ে, তাহলে ঢাকামুখী গাড়ি ভূঞাপুর দিয়ে বাইপাস করা হবে। এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়কের প্রকল্প পরিচালক ড. ওয়ালিউর রহমান বলেন, চার লেন চালু হওয়ায় সড়ক নিয়ে এবার ভয় নেই। গত বছর ঈদের আগের দিন যমুনা সেতুতে ৫৪টি গাড়ি বিকল হয়েছিল। এতে ১৫-১৬ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট হয়। 

বিশৃঙ্খলার ভয়
ঈদের আগে বেতন-ভাতার দাবিতে বিভিন্ন শিল্পকারখানায় আন্দোলন চলছে। রোজার মধ্যে একাধিকবার সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন হয় গাজীপুরে। আবার মহাসড়ক দাপিয়ে ব্যাটারি রিকশাসহ অবৈধ যানবাহন চললেও পুলিশ ঠেকাতে পারছে না। এতেই সবচেয়ে ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে। হাইওয়ে পুলিশপ্রধান সমকালকে বলেন, নৈরাজ্য হলে মোকাবিলা করব। কোথাও সড়ক বন্ধ হলে হাইওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

১৫৫ স্থানে যানজটের শঙ্কা
সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) জানায়, সারাদেশে ১৫৫ স্থানকে তীব্র যানজটপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৪৮, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ৫২, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৬, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৪১ এবং ঢাকা-পাটুরিয়া-আরিচা মহাসড়কের আট স্থানকে যানজটপূর্ণ বলা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ