দীর্ঘ ১৫ মাস রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে এর মধ্যেও থেমে নেই ইসরায়েলি তাণ্ডব। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চললেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে ইসরায়েল। আল জাজিরার ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা সানাদ পরিচালিত স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এ তথ্য।

রাফাহর মিসর-গাজা সীমান্ত, যা বহু দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। ২০২৪ সালের মে মাসে সেটি ইসরায়েল বন্ধ করে দেয়। ১৯৭৯ সালের মিসর-ইসরায়েল শান্তি চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে ইসরায়েল ফিলাদেলফি করিডোরে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। মিসর ও গাজার মধ্যকার ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা ফিলাদেলফি করিডোর নামে পরিচিত।

সানাদ প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্র অনুসারে, ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে তোলা ছবিগুলোতে দেখা গেছে, রাফাহ সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বালির দুর্গ নির্মাণ করেছে। সেই সঙ্গে ১.

৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রাস্তা নির্মাণ করেছে যা ওই বালির দুর্গের সমান্তরালে বিস্তৃত।

এছাড়াও সংস্থাটি জানায়, সীমান্তের উত্তরে নতুন একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী হাজার হাজার রাফাহবাসীকে তাদের ঘরে ফিরতে বাধা দিচ্ছে। যারা নিজেদের ঘরে ফেরার চেষ্টা করছিল, তাদেরকে গুলি করে আহত ও হত্যা করেছে সেনারা।  

যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল এই এলাকায় তাদের সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনতে এবং চুক্তির ৫০তম দিনে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তোলা স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী এই এলাকায় নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাফাহ শহরের আস-সালাম, ইদারি এবং তেল জারাব এলাকায় ৬৪টি ভবন বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে।  

সানাদ আরও চিহ্নিত করেছে যে রাফাহর পশ্চিমে তাল আস-সুলতান এলাকায় অন্তত ছয়টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা মিসর সীমান্ত থেকে ৭৫০ মিটার দূরে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

জমি নিয়ে বিরোধ, চাটমোহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০

পাবনার চাটমোহরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

আহতরা হলেন- কুকড়াগাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন, ধানকুনিয়া গ্রামের রুমা খাতুন, ইদ্রিস আলী, শাহাদৎ হোসেন, সোলাইমান হোসেন, মুক্তা খাতুন, আখিরুল ইসলাম, উজ্জ্বল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শিবলু হোসেন, ইতিয়ারা খাতুন, হৃদয় হোসেন, রাসেল হোসেন, সাথী খাতুন, শামসুন্নাহার, আবু হানিফ, আম্বিয়া খাতুন, হাবিবুর রহমান, হাবিল প্রামানিক, সলকী খাতুন। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী ও মোন্নাফ প্রামানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে ওই জমি নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা জেনারলে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। 

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ