কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে নিখোঁজের দুই দিন পর বিনয় বিশ্বাস (৫৫) নামের এক দর্জির খণ্ডিত মরদেহ পাওয়া গেছে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে। আজ রোববার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করেন তাঁর স্বজনেরা। বিনয় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিনয় বিশ্বাস কুমারখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড এলংগী এলাকার বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি শহরের সোনাবন্ধু সড়কের অনুপম টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী।
পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) দুপুরে বিনয় বিশ্বাস তাঁর টেইলার্সের দোকান থেকে বের হন। এরপর আর তিনি বাড়ি বা দোকানে ফেরেননি। স্বজনেরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। তাকে না পেয়ে ওই দিন রাতে কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্বজনেরা।

রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী শাটল ট্রেনটি পাচুরিয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত (বিনয়) ব্যক্তি রেললাইনে মাথা দেন এবং তিনি দ্বিখণ্ডিত হয়ে মারা যান। গত শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে মরদেহটি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়।

বিনয়ের জামাতা সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে আমার শ্বশুরের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ দেখতে পাই। যতটুকু শোনা গেছে, তিনি ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কেন আত্মহত্যা করেছেন, তা এখনো জানা যায়নি।’
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, নিখোঁজ বিনয়ের দ্বিখণ্ডিত মরদেহটি রাজবাড়ী মর্গে পাওয়া গেছে। স্বজনরা মরদেহটি শনাক্ত করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স বজন র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক-প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়াতে শিক্ষা উপদেষ্টার তাগিদ

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল ইসলাম আবরার। তিনি শিল্পের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ বিষয়গুলোতে নজর রেখে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে দক্ষতা ও বাস্তবমুখী করা জরুরি। 

মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক নয়, বরং সহায়ক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ভূমিকা রাখবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন ও শিক্ষাক্রমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে তাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া গুণগতমান উন্নয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে নীতিগত সহায়তা দেওয়া হবে। 

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর প্রক্রিয়া চলমান। এর মাধ্যমে গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যথাসম্ভব সহায়তা করবে।
উপদেষ্টার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিয়া ও শিল্পখাতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে। আগামীতে এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. সবুর খান অলাভজনক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর করারোপ প্রসঙ্গে বলেন, যে পরিমাণ অর্থ কর হিসেবে আদায় করা হয়েছে, তা গবেষণা কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য পুনরায় বরাদ্দ করা উচিত। এ অর্থ উদ্ভাবনী গবেষণা, প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যয় হলে উচ্চশিক্ষা খাত আরও সমৃদ্ধ হবে।  

বৈঠকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের পদ্ধতি প্রসঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আবেদীন বলেন, প্রতিটি পদের জন্য ১৫-২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তিনজন অধ্যাপকের নাম প্রস্তাব করতে হয়। সে হিসাবে সহস্রাধিক মানসম্পন্ন অধ্যাপক পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমিতির কোষাধ্যক্ষ কে বিএ ম মঈন উদ্দিন চিশতি বলেন, একটি মানসম্পন্ন ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য কয়েকশ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে নিজস্ব অর্থায়নে জমি কেনার পর ক্যাম্পাস নির্মাণে অর্থের সংস্থান করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তিনি স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ পাওয়ার বিষয়ে সরকারি সহায়তার কথা উল্লেখ করেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য কাইয়ূম রেজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ