সাতক্ষীরায় অনুপম কুমার ঘোষ (২৬) নামে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে জেলা সদরের রসুলপুর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত অনুপম বাগেরহাটের চিতলমারী থানার দুর্গাপুর খরমখালি গ্রামের আশীশ কুমার ঘোষের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে পুলিশ লাইনসে দায়িত্ব পালন করেন অনুপম কুমার ঘোষ। দায়িত্ব পালন শেষে বাসায় ফেরেন তিনি। এ সময় বাসায় স্ত্রীর সঙ্গে তার বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে পাশের ঘরে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। পরে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় তাকে ঝুলতে দেখে থানা-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ফেরিওয়ালা খুন
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক ফেরিওয়ালা খুন হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পীরের বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নীপেশ তালুকদার (৪২)। তাঁর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গতকাল রাত ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নীপেশের গ্রামের বাড়ি দিরাইয়ে হলেও সিলেট নগরের জালালাবাদ থানার তেমুখী এলাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তিনি প্রতিদিন বাইসাইকেল দিয়ে হাটবাজারে পান, সুপারি ও সিগারেট ফেরি করে বিক্রি করতেন। গতকালও একইভাবে বিক্রি শেষে সন্ধ্যায় তিনি পীরের বাজার এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন। বাজারের পশ্চিম পাশে আসামাত্রই কিছু ছিনতাইকারী নীপেশের পথরোধ করে এবং একপর্যায়ে তাঁর বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী গতকাল রাত ১২টায় প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।