বাংলা ছিল তাঁর স্বপ্ন দেখার ভাষা। দ্রোহের ভাষা, ভালোবাসার ভাষা। সেই ভাষাতেই আজীবন খালি গলায় গান গেয়ে গেছেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। ‘বাংলা যে তার দৃপ্ত স্লোগান, ক্ষিপ্ত তীর ধনুক’। সেই বাংলাতেই ‘তৃপ্ত শেষ চুমুক’ দিয়ে গতকাল শনিবার ৮৩ বছর বয়সে বিদায় নিলেন বরেণ্য এ কণ্ঠশিল্পী। আপন সৃষ্টিকর্ম তাঁকে স্মরণীয় করে রাখবে। প্রিয় এই শিল্পীর প্রতি তারকাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি 

সৈয়দ আবদুল হাদী

‘বাংলার মায়াভরা পথে’ হাঁটা তাঁর শেষ হলো। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার সরাসরি দেখা হয়নি।  তাঁর গানের সঙ্গে আমার পরিচয় অনেক আগে থেকেই। যন্ত্রসংগীতের সাহায্য ছাড়া খালি গলায় তিনি কী দারুণ গাইতেন। ‘আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই’ গানটির কথা ও সুর অনেক পরিচিত হয়ে উঠেছে এবং তা কানে এলে অনেকটা যেন একটা দোলা অনুভব করা যায়। বিদায় প্রিয় প্রতুল মুখোপাধ্যায়। এ বাংলাতেই চিরকাল আপনাকে আমরা খুঁজে নেব!

খুরশীদ আলম

গান লিখেছেন, সুর দিয়েছেন। সবই বাংলায়। গণসংগীত নিয়ে থেকেছেন। কোনো বিশেষ ধরনে আবদ্ধ হয়ে থাকেননি। মাঝিমাল্লাদের থেকে যেমন ভাটিয়ালি শিখেছেন, তেমনই অনুপ্রেরণা নিয়েছেন বাংলা আধুনিক গান থেকেও। এমনকি জাপানি গান থেকেও শুষে নিয়েছেন গানের মূল্যবোধ। প্রতুল মুখোপাধ্যায় শেষ বয়স পর্যন্ত দৃপ্ত গলায় গেয়ে গেছেন বাংলা গান, বাংলার গান। তাঁর অনেক সৃষ্টির মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি বিশেষভাবে সমাদৃত। বাংলার সংস্কৃতি যতদিন থাকবে ততদিনই বেঁচে থাকবে তাঁর গাওয়া ‘আমি বাংলায় গান গাই’-এর মতো জনপ্রিয় গান। 

তিমির নন্দী
সচরাচর কোনো বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করতেন না প্রতুল মুখোপাধ্যায়।  সেতারের সুর পছন্দ করতেন। পছন্দ করতেন স্পষ্ট ভাষায় কথা বলাও। বিকৃত উচ্চারণ পছন্দ করতেন না। তাঁর উচ্চারণের মতোই স্পষ্ট ছিল রাজনৈতিক বক্তব্যও। মানুষের মুক্তির গান বারবার উঠে এসেছে তাঁর গলায়। তাঁর প্রয়াণের মধ্যে দিয়ে বাংলা ও বাঙালিদের কাছে তৈরি হলো বিরাট শূন্যতা। তাঁর প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

কোনাল

বাংলা ভাষা নিয়ে লড়াইয়ের মাসেই আপনার প্রস্থান হলো শ্রদ্ধেয় প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তাঁর সৃষ্টি, ‘আমি বাংলায় গান গাই’ থেকে যাবে যত দিন বাংলা আছে, বাঙালি আছে। শ্রদ্ধেয় প্রতুল দা, গান আর নেওয়া হলো না আপনার কাছ থেকে। জীবন এ রকমই। আপনার এই স্থায়ী ঠিকানাটা শান্তির হোক।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: করত ন

এছাড়াও পড়ুন:

তটিনীর ভ্রমণকাহিনি: সূর্যাস্তের সেই সৌন্দর্য আজও মনে গেঁথে আছে

নাটকের শুটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন অভিনয়শিল্পী তানজিম সাইয়ারা তটিনী। কাজে একটু ফুরসত পেলেই ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশটির এ-শহর, ও-শহর। শোনালেন তেমনই একটি অভিজ্ঞতা।

অস্ট্রেলিয়ায় একাধিক নাটকের শুটিং। তাই বলে একটু ঘুরব না! সহশিল্পী খায়রুল বাসারের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথাও বলেছিলাম। কিন্তু সিডনিতে টানা শুটিংয়ে সময় বের করাটাই কঠিন হয়ে পড়ল। একঘেয়েমিও পেয়ে বসল। মন চাইছিল কোথাও একটু ঘুরতে যাই। এর মধ্যেই পাওয়া গেল বিরতি। সময়টা ঘুরেফিরে কাটাতে পারলে মন্দ হয় না। ব্যবস্থা করে দিল আমার কাজিন। সে-ও আমার অবসরের অপেক্ষায় ছিল সস্ত্রীক। সিদ্ধান্ত হলো তাদের সঙ্গে লা-পেরুজে যাব।

হলিউডের অনেক সিনেমার শুটিং সিডনির এই শহরতলিতে হয়েছে। জায়গাটা পর্দায় দেখা। সিনেমার সেসব দৃশ্যের কথা মনে পড়তেই আনন্দে নেচে উঠল মন। লা পেরুজের সূর্যাস্তের কথা তো কতই শুনেছি। পরে আমার কাজিনদের কাছ থেকেও জানলাম। তারাও অনেকবার গিয়েছে।

লা পেরুজে পৌঁছেই মনটা ভালো হয়ে গেল। পরিচ্ছন্ন আর খোলামেলা সৈকত, আবহাওয়াটাও দারুণ।

গাঙচিলদের সঙ্গে কিছুটা সময়

সম্পর্কিত নিবন্ধ