টেকনাফে ধরা পড়ল ১৯৪ কেজির বোল মাছ, আড়াই লাখে বিক্রি
Published: 16th, February 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের অদূরে নাফ নদীতে টানা জালে ধরা পড়ল ১৯৪ কেজি ওজনের একটি বোল মাছ। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আলম প্রায় আড়াই লাখ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর এলাকার নাফ নদীতে মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি শাহ পরীরদ্বীপ কোনাপাড়ার বাসিন্দা কালু ফকিরের মালিকানাধীন টানা জালে ধরা পড়ে। স্থানীয় ভাষায় মাছটি বোল মাছ নামে পরিচিত।
শাহপরীর দ্বীপ ট্রলার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান জানান, সকালে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর এলাকার নাফ নদীর মোহনায় জেলেরা টানা জাল ফেলেন। ঘণ্টাখানেক পর জাল টানার চেষ্টা করেন তারা। এমন সময় ছোট ছোট মাছের সঙ্গে বড় বোল মাছটি জালে আটকে যায়। জেলেরা নাফ নদী থেকে মাছটি রশি বেঁধে টেনে টেনে চরের উপরে তুলে নিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মাছটি শাহ পরীর দ্বীপ জেটিঘাটে নেওয়া হয়। ওই সময় মাছটি দেখতে লোকজন ভিড় জমায়।
আরো পড়ুন:
মেলায় সাজানো বিশালাকৃতির বাঘাইড়, চলছে বিক্রিও
মেঘনায় ধরা পড়ল ৮ মণের শাপলাপাতা মাছ
শাহপরীর দ্বীপ কোনাপাড়ার নৌকার মাঝি নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘‘আমার জালে প্রথমবার ১৯৪ কেজি ওজনের বোল মাছ আটকা পড়েছে। মাছটি শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে এনে দাম চেয়েছিলাম ৩ লাখ টাকা । পরে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নুরুল আলমকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’’
টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, শাহপরীর দ্বীপের এক জেলের জালে বিশাল মাছটি ধরা পড়ে। শীত মৌসুমে সাধারণত ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজন পর্যন্ত বোল মাছ ধরা পড়ে।
তিনি আরো জানান, সাগরের মাছ ধরার ওপর বিভিন্ন ধরনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে পালন হওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। বড় মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়লে সবাই দেখে আনন্দ পান, তেমনি জেলেরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।
মাছটি কেটে খুচরা বিক্রি করতে মাইকিং করেন মাছ ব্যবসায়ী আবদুর শুক্কুর। তিনি জানান, দেড় হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে।
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হপর র দ ব প পর র দ ব প
এছাড়াও পড়ুন:
‘ছাত্র-জনতার ভোটের অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাবে আওয়ামী পরবর্তী জুলুমবাজের দল’
জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং তার দোসররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। সামনে আরেকটি অভ্যুত্থান হবে। সেই অভ্যুত্থান হবে ছাত্র-জনতার ভোটের অভ্যুত্থান। ছাত্র-জনতার ভোটের অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ পরবর্তী জুলুমবাজের দল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সাইয়েদ জামিল শুক্রবার সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ সাগর আহমেদের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন।
সাইয়েদ জামিল বলেন, অতীতে আপনারা আওয়ামী লীগ সরকার দেখেছেন, বিএনপি সরকার দেখেছেন, জাতীয় পার্টির সরকারও দেখেছেন। এবার আপনারা আপনাদের অভিজ্ঞতার আলোকে সিদ্ধান্ত নেবেন। আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা ব্যক্তিগত লাভের আশা করবেন না, পুরোনো নেতাদের মিষ্টি কথার ফাঁদে পা দেবেন না। রাষ্ট্রকে ঢেলে সাজাবার, সিস্টেমকে ভেঙে গড়বার ক্ষমতা এবার আপনাদের হাতে। আমার বিশ্বাস, আপনারা দেশের অধিকাংশ মানুষের মতোই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চান। ন্যায় ও ইনসাফের সমাজ এবং রাষ্ট্র চান।
পরে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বালিয়াকান্দির বিভিন্ন বাজারঘাট ও গণজমায়াতের স্থানগুলোতে দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ভোটারদের করণীয় এবং এনসিপিতে যোগদানের আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিলির কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক এনামুল হক জমিদার, বালিয়াকান্দি উপজেলা এনসিপির সংগঠক শফিউল মনির মিয়া, মিজানুর রহমান রাকিব, মো. আল আমিন, মিজানুর রহমান মোল্লা এবং কালুখালী উপজেলার সংগঠক মো. মারুফ হোসেন, বোরহান মাহমুদ, জিহাদুল ইসলাম প্রমুখ।