মালির পশ্চিমাঞ্চলে অবৈধভাবে পরিচালিত একটি স্বর্ণের খনিতে ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। 

পুলিশের এক সূত্রের বরাত দিয়ে আজ রবিবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খনিতে ধস নামে। সেখানে ৪৮ জন মারা গেছেন। পানিতে পড়ে কারো কারো মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারীও আছেন। ওই নারীর পিঠে তার ছোট্ট শিশুটিও বাঁধা ছিল।”  

সেখানে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছেন একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রধান।

এএফপির তথ্যানুসারে, মালি আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশ হলেও, অবৈধ খনি কার্যক্রমের কারণে প্রায়ই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির সরকার এই অনিয়ন্ত্রিত খনি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে, বিশেষ করে যখন এটি বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে একটি।  

সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, শনিবারের দুর্ঘটনাটি পূর্বে একটি চীনা কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত একটি পরিত্যক্ত স্থানে ঘটেছে।

এর আগে জানুয়ারিতে মালির দক্ষিণাঞ্চলের একটি স্বর্ণখনিতে ভূমিধসে অন্তত ১০ জন নিহত এবং আরো অনেকে নিখোঁজ হয়।

প্রায় এক বছর আগে একটি স্বর্ণখনির সুড়ঙ্গ ধসে পড়ে এবং তাতে ৭০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে আট সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭

পাকিস্তানে আট সেনাসদস্যসহ মোট ১৭ জন নিহত হয়েছেন। সেনাসদস্য ছাড়া বাকি নিহত ব্যক্তিদের আটজন তালেবান যোদ্ধা, একজন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে কয়েকটি আলাদা হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রদেশটিতে গত কয়েক মাসে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র  হামলা বেড়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র আজ শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ‘সশস্ত্র তালেবানের’ বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় সাতজন সেনাসদস্য নিহত হন। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা একটি বাসায় লুকিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি চালাচ্ছিলেন।

অভিযানে সামরিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী লড়াই হয়। এতে আট তালেবান সদস্য নিহত হন। একই সঙ্গে ছয় সেনাসদস্যও আহত হন।

দক্ষিণ বেলুচিস্তানের পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন আলী এএফপিকে বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মোটরসাইকেলে একটি বোমা পেতে রেখেছিল। এটা বিস্ফোরিত হয়ে একজন সেনা নিহত হন। একই ঘটনায় একজন সাধারণ মানুষও প্রাণ হারান।

গত মাসে এই অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছিল। এ ঘটনায় ছুটিতে থাকা বেশ কিছু সেনাসদস্য নিহত হন।

বেলুচিস্তান প্রদেশের গোয়াদর জেলায় পৃথক একটি সামরিক গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন সেনাসদস্য ও একজন সাধারণ নাগরিক আহত হন। এই জেলায় চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রয়েছে। তাই এই অঞ্চলটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় ১৯০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন, যাঁদের বেশির ভাগই সেনাসদস্য।

মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বসন্ত অভিযান’ ঘোষণা করেছে।

ইসলামাবাদভিত্তিক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের তথ্যমতে, গত বছর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ১ হাজার ৬০০–এর বেশি মানুষ নিহত হন। গত এক দশকে দেশটিতে এক বছরে সন্ত্রাসী হামলায় এত বেশি মানুষ নিহতের এটাই রেকর্ড।

সহিংসতার অধিকাংশ ঘটনাই ঘটছে আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানে আট সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭