মালিতে স্বর্ণের খনি ধসে নিহত ৪৮
Published: 16th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি স্বর্ণের খনি ধসে অন্তত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত কেনিবা নামের ওই খনিটি অবৈধভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং বেশ কিছু সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন পানিতে পড়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন, যার কাঁধে তার শিশু সন্তান ছিল।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘটনায় হতাহতদের উদ্ধারে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পরিবেশবাদী একটি সংস্থা।
একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, যে জায়গাটায় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আগে খনি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল চীনা একটি কোম্পানি। এখন এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
উল্লেখ্য, মালি আফ্রিকার অন্যতম প্রধান স্বর্ণ উৎপাদক দেশ এবং সেখানকার খনিগুলোতে প্রায়ই এরকম দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর অন্যতম এ দেশটির মূল্যবান ধাতুর অনিয়ন্ত্রিত খনির নিয়ন্ত্রণ নিতে রীতিমত লড়াই করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এম জি
.
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে আট সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
পাকিস্তানে আট সেনাসদস্যসহ মোট ১৭ জন নিহত হয়েছেন। সেনাসদস্য ছাড়া বাকি নিহত ব্যক্তিদের আটজন তালেবান যোদ্ধা, একজন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে কয়েকটি আলাদা হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রদেশটিতে গত কয়েক মাসে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা বেড়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র আজ শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ‘সশস্ত্র তালেবানের’ বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় সাতজন সেনাসদস্য নিহত হন। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা একটি বাসায় লুকিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি চালাচ্ছিলেন।
অভিযানে সামরিক হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী লড়াই হয়। এতে আট তালেবান সদস্য নিহত হন। একই সঙ্গে ছয় সেনাসদস্যও আহত হন।
দক্ষিণ বেলুচিস্তানের পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন আলী এএফপিকে বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মোটরসাইকেলে একটি বোমা পেতে রেখেছিল। এটা বিস্ফোরিত হয়ে একজন সেনা নিহত হন। একই ঘটনায় একজন সাধারণ মানুষও প্রাণ হারান।
গত মাসে এই অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছিল। এ ঘটনায় ছুটিতে থাকা বেশ কিছু সেনাসদস্য নিহত হন।
বেলুচিস্তান প্রদেশের গোয়াদর জেলায় পৃথক একটি সামরিক গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন সেনাসদস্য ও একজন সাধারণ নাগরিক আহত হন। এই জেলায় চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রয়েছে। তাই এই অঞ্চলটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় ১৯০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন, যাঁদের বেশির ভাগই সেনাসদস্য।
মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বসন্ত অভিযান’ ঘোষণা করেছে।
ইসলামাবাদভিত্তিক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের তথ্যমতে, গত বছর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ১ হাজার ৬০০–এর বেশি মানুষ নিহত হন। গত এক দশকে দেশটিতে এক বছরে সন্ত্রাসী হামলায় এত বেশি মানুষ নিহতের এটাই রেকর্ড।
সহিংসতার অধিকাংশ ঘটনাই ঘটছে আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে।