প্রথমবারের মতো চরকির ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’তে একসঙ্গে আসছেন গায়ক–অভিনেতা প্রীতম হাসান ও অভিনেত্রী তানজিন তিশা। কাজটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তানজিন তিশা বলেন, ‘প্রীতম ভাইয়াকে আমি কখনো শুটিং সেটে রাগতে দেখিনি। সব আর্টিস্টকে নিয়ে একটু একটু করে কাজটি শেষ করেছেন তিনি। সব কৃতিত্ব প্রীতম ভাইয়ার।’

তিশার কথা শেষ হতেই পাশ থেকে ‘ধন্যবাদ’ বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গায়ক ও অভিনেতা প্রীতম হাসান। কিন্তু তানজিন তিশা কথাগুলো বলছিলেন নির্মাতা জাহিদ প্রীতমের উদ্দেশে। তিশা পরে মজা করে বলেন, ‘আমি তো প্রীতম ভাইয়ার কথা বলছি।’ বিষয়টা প্রীতমও বুঝেছিলেন। কিন্তু মজা করেই তিনি ধন্যবাদ জানান। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে যায়। কথায় কথায় জমে ওঠে ‘ঘুমপরী’ নিয়ে তারকাদের খুনসুটি আর মজার আড্ডা।

ভালোবাসার মাসে চরকিতে আসছে ‘ঘুমপরী’। ওয়েব ফিল্মটি ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় মুক্তি পাচ্ছে। মুক্তি উপলক্ষে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানী কারওয়ান বাজারের একটি ইভেন্ট স্পেসে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন। দেখানো হয় ওয়েব ফিল্মটির ট্রেলার। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ‘ঘুমপরী’র অভিনয়শিল্পী প্রীতম হাসান, তানজিন তিশা, পারশা মাহজাবীন, নির্মাতা জাহিদ প্রীতম, চরকির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি, কলাকুশলীসহ অনেকেই।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ প্রীতম, পারশা মাহজাবিন, প্রীতম হাসান ও তানজিন তিশা। চরকির সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঘ মপর

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ