সচিবালয়মুখী রাস্তায় আন্দোলনকারীরা, পুলিশের বাধা, জলকামান
Published: 16th, February 2025 GMT
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে মহাসমাবেশ থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছেন আন্দোলনরতরা। সচিবালয়মুখী রাস্তায় তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন। তারা সেই রাস্তাতেই অবস্থান করছেন। পুলিশ জলকামান ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে।
রোববার বেলা ৩টার দিকে আন্দোলনরতরা ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। বেলা ৩টা ২০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখার সময় সহস্রাধিক আন্দোলনকারী শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে হাইকোর্টে মাজার রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে তারা সচিবালয়ের দিকের রাস্তায় রওনা দেন। এ সময় পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। বিকেল চারটার কিছু আগে পুলিশ আন্দোলনকারীদের দিকে জলকামান ছোড়ে। তবে আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান করছেন।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় মধ্যরাতে সন্ত্রাসী-যৌথ বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধ, গ্রেপ্তার ১১
খুলনায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় পুলিশ, নৌবাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়েছে।
রবিববার (৩০ মার্চ) মধ্যরাতে নগরীর আরামবাগ এলাকার একটি বাড়ি ঘেরাও করে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
এ ঘটনায় পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি এবং মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। বাড়িটিতে কালা লাভলুসহ সন্ত্রাসীরা গোপন মিটিং করছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার মধ্য রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গার আরামবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়ে বৈঠক করছে- এমন খবর পেয়ে কেএমপি ও যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। যৌথ বাহিনীর টিম আরামবাগ এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় আ. রহমান নামক জনৈক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সন্ত্রাসীরা পুলিশ ও যৌথবাহিনীর ওপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে।
এসময় অভিযান পরিচালনা টিমও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আহত অবস্থায় ১১ জন সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসীরা হলো- নগরীর মিস্ত্রিপাড়ার আব্দুল হান্নান শেখের ছেলে শেখ পলাশ (৩৩), বটিয়াঘাটার সুরখালি গ্রামের মো. আহমদ খার ছেলে মো. আরিফুল (২৭), নগরীর গোবর চাকার সাত্তার মিয়ার ছেলে কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলাম (৩৫), রুপসার বাগমারার ইজাজ শেখের ছেলে ফজলে রাব্বি রাজন (২৬), মুসলমান পাড়া ক্রস রোড এলাকার মৃত শরীফ মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ (৩৩);
বাগমারা মেইন রোড এলাকার মাসুদ আলম জয়নালের ছেলে ইমরানুজ্জামান (৩৩), নিরালার মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে ইমরান (৩৫), পশ্চিম বানিয়া খামারের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রিপন (৩৮), বানরগাতীর আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে সৈকত রহমান (২৭), একই এলাকার আশরাফ আলী সরদারের ছেলে মো. মহিদুল ইসলাম (৩৫) ও রমিজুল হাওলাদারের ছেলে মো. গোলাম রব্বানী (২৬)।
ঘটনাস্থল থেকে ৩টি পিস্তল, ১টি একনলা শর্ট গান, ১টি কাটা বন্ধুক, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, সটগানের কয়েক রাউন্ড গুলি এবং সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ৭টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা টিমের কয়েকজন পুলিশ ও নৌ বাহিনীর সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের খুলনা পুলিশ হাসপাতালে এবং আহত নৌবাহিনীর সদস্যদের খুলনা নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কেএমপির এডিসি (মিডিয়া) মো. আহসান হাবিব জানান, খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় সন্ত্রাসীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধ ও অস্ত্র গোলাবারুদসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের ঘটনায় আজ ৩০ মার্চ দুপুর ২টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করা হবে। সেখানে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস