মহাকাশ পর্যটনের কারণে চাঁদে বৈজ্ঞানিক অভিযান কি ঝুঁকিতে পড়বে
Published: 16th, February 2025 GMT
দীর্ঘদিন থেকে মহাকাশ পর্যটন নিয়ে কাজ করছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাক্টিক, ব্লু অরিজিনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে একাধিকবার পর্যটক নিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে মহাকাশ থেকে ঘুরেও এসেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর মহাকাশযান। কিন্তু মহাকাশে পর্যটকদের উপস্থিতি বিজ্ঞানীদের কাজে বাধা তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ মার্টিন এলভিস বলেন, চাঁদের দূরবর্তী অঞ্চল জ্যোতির্বিদ্যার গবেষণার জন্য অনন্য। এই এলাকায় বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান আমাদের সৌরজগৎ, পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সম্ভাবনা ও মহাবিশ্বের বিবর্তন সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু এসব অঞ্চল রক্ষা করার জন্য কোনো আন্তর্জাতিক আইন নেই। এখন সবাই এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে বলে ভবিষ্যতের গবেষণার সুযোগ নষ্ট হতে পারে।
গত ১২ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে অনুষ্ঠিত আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স সম্মেলনে মার্টিন এলভিস জানান, চাঁদে মানুষের উপস্থিতি দুর্দান্ত সব তথ্য জানতে সহায়তা করবে। তখন আজকের সেরা টেলিস্কোপকে খেলনার মতো মনে হবে। যদিও মানুষের এসব কার্যক্রমের কারণে সেখানকার পরিবেশ নষ্ট হতে পারে। বৈজ্ঞানিক অভিযান ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য করতে হবে। এই মুহূর্তে কোনো ভারসাম্য নেই।
আরও পড়ুনমহাকাশ ঘুরে এলেন ৬ পর্যটক৩০ আগস্ট ২০২৪বর্তমানে চাঁদের আশপাশে বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক মিশন পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে মহাকাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য হারিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানিরা। শুধু তা–ই নয়, মহাকাশ পর্যটনের কারণে বৈজ্ঞানিক গবেষণাও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আর তাই আগামী দশকের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে চাঁদে শুধু বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন মার্টিন এলভিস।
সূত্র: ডেইলি মেইল
আরও পড়ুনপ্রথমবারের মতো মহাশূন্যে হাঁটার সুযোগ পাচ্ছেন চার বেসরকারি ব্যক্তি২৫ আগস্ট ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা
পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী।
আরো পড়ুন:
বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস
রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ
বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”
কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”
পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ