চাঁদপুরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে খালাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের কুমারডুগি পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যক্তির নাম ইউসুফ পাটোয়ারী (৪০)। এ ঘটনায় তাঁর আপন বড় ভাই ইব্রাহিম পাটোয়ারী (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় ইউসুফের খালাতো ভাই মো.

মাইনুদ্দিন পাটোয়ারী (৫০), তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪০) ও ছেলে রমজান পাটোয়ারীকে (২০) আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা-পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমারডুগি পাটোয়ারী বাড়িতে নানার রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই খালাতো ভাইয়ের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও বিরোধ চলছিল। এরই জেরে আজ সকালে শহরের হকার্স মার্কেটের মোবাইল ব্যবসায়ী ইউসুফ পাটোয়ারী ও তাঁর বড় ভাই ইব্রাহিম পাটোয়ারীর সঙ্গে তাঁদের খালাতো ভাই ভ্যানচালক মো. মাইনুদ্দিনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাইনুদ্দিনের ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁদের এলোপাতাড়ি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ইউসুফ পাটোয়ারী নিহত হন এবং ইব্রাহিম পাটোয়ারী গুরুতর আহত হন। এ সময় তাঁদের ডাক ও চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মাইনুদ্দিনকে ঘরের ভেতর আটকে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্ত মাইনুদ্দিনসহ তিনজনকে আটক করে।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ‘আমরা এ ঘটনাটি তদন্ত করছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ইন দ দ ন এ ঘটন ইউস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩

ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ময়মনসিংহ থেকে এক তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত জেলার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মেহেদি হাসান ওরফে সবুজ (২৪), তাঁর ভাই সাকিব হোসেন (২০) ও মো. গোলাম রসুল ওরফে রাকিব (২১)। তাঁদের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামে।

সাতক্ষীরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়। পেশায় তিনি একজন মডেল ও পারলারের রূপবিশেষজ্ঞ। কয়েক দিন আগে ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামের গোলাম রসুলের পরিচয় হয়। কয়েক মাস কোনো কাজ না থাকায় তিনি বাড়িতে বেকার বসে ছিলেন। গোলাম রসুলের সঙ্গে পরিচয়ের একপর্যায়ে তিনি ভারতে কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান। পরে তাঁর কথায় ২২ মার্চ তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে মেহেদি হাসান ও গোলাম রসুল তাঁকে নিয়ে মেহেদির বাড়িতে নিয়ে রাখেন।

ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করেন, রোববার গ্রেপ্তার মেহেদির বাড়ি থেকে তাঁকে কদমতলা গ্রামের আমিনুল ইসলাম নামের একজনের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে অচেতন করার পর একে একে কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরদিন সোমবার তাঁকে শ্যামনগর উপজেলার কুলতলী গ্রামে একজনের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। মঙ্গলবার আবার তাঁকে কয়েকজন ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁকে আবার মেহেদির বাড়িতে আনা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর কাছে থাকা মুঠোফোন দিয়ে ৯৯৯ নম্বর কল করলে দুপুরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

সাতক্ষীরার ওই হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা সোমা রানী দাস বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি অসুস্থ থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল রশিদ মোল্যা বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় মামলা করেছেন। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। ওই তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
  • বেড়াতে এসে মামাতো ভাইকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
  • জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান, আটক ৩
  • সাভারে স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান, আটক ৩
  • জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধ’ স্লোগান, আটক ৩
  • স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে আ.লীগের পক্ষে মিছিল, আটক ৩