মডেলিং থেকে কর্মজীবনের শুরু। তারপর অভিনয়। বলিউড থেকে হলিউডেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এখন আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবেই খ্যাতি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। কিন্তু একের পর এক কাজ হাতছাড়া হওয়ায় একটা সময় নাকি বলিউড ছেড়ে তিনি চলে যেতে চেয়েছিলেন। সেই কঠিন পরিস্থিতির মূল কারণ ছিল প্রিয়াঙ্কার নাকের গঠন।

সম্প্রতি পরিচালক অনিল শর্মা এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন। সেই সঙ্গে জানালেন, অভিনয় জীবনের প্রথম দিকে নাকে অস্ত্রোপচার হয়েছিল প্রিয়াঙ্কার। নাকের ভেতর থেকে পলিপ সরিয়ে ফেলতে এই অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। কিন্তু এই অস্ত্রোপচারের জেরে আরও জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ফলে বহু ছবি হাতছাড়া হয়েছিল অভিনেত্রীর।

দুঃসময়ে প্রিয়াঙ্কার পাশে ছিলেন অনিল শর্মা। জটিলতা পেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। অনিল শর্মা তাঁর ছবি ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি অফ আ স্পাই’-তে প্রিয়াঙ্কাকে বিশেষ চরিত্রের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। শুধু নিজের ছবিতেই নয়। সুনীল দর্শন ও সুভাষ ঘাইয়ের মতো প্রযোজকদেরও রাজি করিয়েছিলেন ‘অন্দাজ’ ও ‘অ্যায়তরাজ’ ছবিতে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কাজ করার জন্য।

সাক্ষাৎকারে অনিল বলেছেন, ‘প্রিয়াঙ্কা সফল। কারণ, ওর প্রতিভা আছে। এত গুণ থাকলে, ঈশ্বর জীবনে এমন মানুষ নিয়ে আসেন, যারা আপনাকে উৎসাহ দেন। আমার মনে হয়, প্রিয়াঙ্কার জীবনে আমিও তেমনই মানুষ।’

দুর্দিনে পাশে থাকা মানুষকে ভুলে যাননি প্রিয়াঙ্কাও। তাঁর কথায়, ‘ও আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। ১০০ জনের মধ্যে আমাকে দেখলে ও এগিয়ে এসে কথা বলবে। আমাদের যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক। ওর বাবার সঙ্গেও আমার ভাল সম্পর্ক ছিল।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়

সাইট ভিজিট করার ক্ষেত্রে সাধারণত সন্দেহ থাকলে তা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। তা না হলে ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে। কারণ, বহু ধরনের জাল ওয়েবসাইট এখন ২৪ ঘণ্টাই ম্যালওয়্যার যুক্ত থাকে। ম্যালওয়্যার হলো এক ধরনের বিশেষ দক্ষতার ভাইরাস। ছদ্মবেশী সাইট ভিজিট করার পর যে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করলে স্মার্টফোনে ভাইরাস প্রবেশের আশঙ্কা বহুলাংশে বেড়ে যায়।

অ্যাপ ইনস্টল

অ্যাপ ইনস্টলে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল প্লে স্টোর আর অ্যাপল আইফোনে অ্যাপ স্টোর আছে। দুটি অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্ম ছাড়া অ্যাপ ইনস্টলে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ক্ষতিকারক কোনো অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে রাখার অনুমোদন দেবে না। যদি আনঅফিশিয়াল অ্যাপ ব্যবহার খুব জরুরি হয়, তাহলে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এপিকে ফাইলের সহায়তায় অ্যাপ ইনস্টল করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াইফাই 

ভ্রমণে বা তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে যত্রতত্র ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ নিতে হয়। হোটেল বা রেস্তোরাঁয় গিয়ে বিনামূল্যে ওয়াইফাই ইন্টারনেটে যুক্ত হতে সতর্ক হতে হবে।

কারণ, নেটওয়ার্ককে টার্গেট করেও স্মার্টফোনে ভাইরাস ছড়ানোর বহু নজির বিদ্যমান। বিশেষ চক্র এখন ব্লুটুথ আর ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অসতর্ক গ্রাহকের ডিভাইসের সুরক্ষা ভেদ করে অনুপ্রবেশ করে। আর কিছু না হলেও ছবির গ্যালারিতে দ্রুত প্রবেশাধিকার নিয়ে নেয়। তাই সতর্ক থাকতে হবে সব সময়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ