চাঁদপুরে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 16th, February 2025 GMT
চাঁদপুরে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ইউসুফ পাটওয়ারী (৪০) নামে এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারডুবি এলাকার পাটওয়ারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ইউসুফ পাটওয়ারী ওই এলাকার মৃত কলিম উল্লাহ পাটওয়ারী ছেলে। এ ঘটনার সময় নিহত ইউসুফ পাটওয়ারীর বড় ভাই ইব্রাহীম পাটওয়ারীকেও (৬০) কুপিয়ে জখম করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
স্বজনরা জানায়, সম্পত্তি নিয়ে কিছুদিন ধরে ইউসুফ পাটওয়ারীর খালাতো ভাই মাইনুদ্দিন (৬০), তার ছেলে রমজান (৩৫), রবিউল (২৫) ও রহিম (২০) হুমকিধামকি দিয়ে আসছে। সকালে ইউসুফ পাটওয়ারীর বাড়িতে ঢুকে মাইনুদ্দিনসহ তার ছেলেরা ধারালো অস্ত্র ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। সেখানেই ইউসুফ নিহত হন। এতে গুরুতর আহত হয় তার ভাই ইব্রাহীম।
ইউসুফ পাটওয়ারী চাঁদপুর শহরের শপত চত্ত্বর মোড়ে মেহেদী মোবাইল হাউজ নামে একটি শো-রুম রয়েছে। তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার তার গ্রামের বাড়ি ও মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, ১৯ খাল সংস্কারে নেওয়া হবে মহাপরিকল্পনা’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯টি খাল সংস্কারের মহাপরিকল্পনা করা হবে। ধানমন্ডি ও মালিবাগসহ মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “জলাবদ্ধতা দূর করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি নিয়মিত খনন ও পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় ও কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন। সরকার খাল ও জলাশয় দখলমুক্ত রাখতে এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আরো পড়ুন:
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ভূমিকা রাখায় ‘সোয়ান’ পুরস্কার পেলেন ১৬ জন
বাঁচার জন্য প্রয়োজন নির্মল বায়ু, পানি ও মাটি: পরিবেশ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, “মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে। দূষণ রোধে বহুতল ভবনের মালিকদের নিজ নিজ পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। খাল পুনরুদ্ধার করে পাড়ে বেশি করে গাছ লাগানো হবে।”
সভায় নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, খাল ও জলাশয় পুনরুদ্ধার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়াসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ