প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘জুলাই আন্দোলনে অনেক সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন আবার অনেকে ট্রমাটাইজ। সব চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে অনেক গণমাধ্যম ভালো সাংবাদিকতা করেছেন। এর বাইরে অনেক গণমাধ্যম দালালি করেছে। শুধু এক মাস নয়, এর আগে আওয়ামী লীগের পুরোটা সময় ক্ষমতাসীনদের পক্ষে বয়ান তৈরি করেছে অনেক গণমাধ্যম। স্বৈরাচারের হাতকে শক্তিশালী করেছে।’

আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদী বয়ান: ফিরে দেখা ১ থেকে ৩৬ জুলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যমে স্বৈরাচারের পক্ষে যত বয়ান তৈরি হয়েছে, তার সবকিছু নথিভুক্ত করা হবে।

প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘১-৩৬ জুলাই গণমাধ্যমের ভূমিকা নথিভুক্ত করা হবে। অনেক গণমাধ্যম শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এরমধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের হত্যার বৈধতা দিয়েছে। ভয়াবহ সাংবাদিকতা হয়েছে। পূর্বাচলের প্লট পাওয়ার জন্য অনেক সাংবাদিক এমন ভূমিকা রেখেছে।’

নতুন বাংলাদেশে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা চান জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা তৈরি করতে হবে। যেসব সংবাদ ক্ষমতাকেই প্রশ্ন করতে পারে।’

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা এলে সব পক্ষের সঙ্গেই বসা হবে বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে সরকার তদন্ত করবে না। করলে অনেকে বলবে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগে এ বিষয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।’

প্রেস সচিব আরও বলেন, এসব ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোর বয়ান ডকুমেন্ট করা হবে। তাদের ভূমিকা নিয়েও গবেষণা করা হবে। কারো কণ্ঠ যেন রোধ না হয়, এমন বাংলাদেশ তৈরি করতে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরাকর। এমন সাংবাদিকতা তৈরি হবে, যেখানে সব সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। যত শক্তিশালীই হোক না কেন, সবাইকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব দ কত

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, এক নারী নিহত

ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ