চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন থানায় গত ২৪ ঘণ্টায় ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী’ আরো ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও রয়েছেন। 

রবিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা থেকে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত বিশেষ চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম জানান, চট্টগ্রামের ১৬ থানার পৃথক অভিযানে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে। 

ঢাকা/রেজাউল/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার জামিন চাওয়ায় বাদীকে হাজতে পাঠালেন আদালত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের ঘটনায় করা এক মামলায় আসামি জড়িত নয় বলে হলফনামা (অ্যাফিডেভিট) দেন বাদী। পরে নিজে আদালতে হাজির হয়ে জামিনে আপত্তি নেই জানান। আসামি করেও আবার জামিন চাওয়ায় আদালত কারণ জানতে চান। তবে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বাদী। পরে বাদীকে হাজতখানায় পাঠিয়ে দেন আদালত। পাঁচ ঘণ্টা হাজতবাসের পর মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান বাদী তছলিমা আক্তার। আজ সোমবার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, হাটহাজারীর একটি মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আবুল মনসুর ও মো. হাসানের জামিনের আবেদন করা হয় মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। কয়েক মাস আগে এই দুজনসহ ৩১ জন আসামি জড়িত নন দাবি করে হলফনামা দিন বাদী তসলিমা আক্তার।

আসামি আবুল মনসুর হাটহাজারী ধলই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে ধরতে গিয়ে পুলিশ বাধার সম্মুখীন হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরদিন মনসুরকে হাটহাজারী থানার ৪ আগস্টের একটি মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা রয়েছে।

আবুল মনসুর ও মো. হাসান গত ৫ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জামিন শুনানির সময় আসামিদের জামিনে আপত্তি নেই জানান বাদী। তখন বিচারক বাদীর কাছে জানতে চান, কেন মামলা করলেন, আবার হলফনামা দিলেন ৩১ আসামির নামে। এখন জামিনে আপত্তি নেই জানালেন। বাদী কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে বিচারক বাদীকে হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

সরকারি কৌঁসুলি আরও বলেন, বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা হাজতবাসের পর বাদী ভবিষ্যতে আর এই ধরনের কাজ করবেন না বলে আদালতে লিখিত মুচলেকা দেন। পরে আদালত তাঁকে ছেড়ে দেন।

জুলাই-আগস্টের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে ২১৯টি। গুলিতে মারা যান ১০ জন। আহত হন অন্তত পাঁচ শ বেশি। শুরু থেকে এসব মামলায় বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ