আহ্ছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ডিজাইন শ্যারেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের মনোনীত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল এ শ্যারেটে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা অর্জন করে। দলের সদস্যরা হলেন ফারহান মুহিবুর রহমান, ফারহান ইশরাক নিবিড়, আরিফুল ইসলাম খাঁ, আলিফ ইসলাম তুষান ও সাহাফ কবির। ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের স্থাপত্য বিভাগের উদ্যোগে চার দিনব্যাপী ডিজাইন শ্যারেটের আয়োজন করা হয়। এতে দেশের ২৩টি দল অংগ্রহণ করে। আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মো.

আশরাফুল হক বলেন, স্থাপত্য বিভাগের এই সাফল্যকে সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের আরও প্রতিযোগিতামূলক কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

ডিজাইন শ্যারেট মূলত এমন একটি ধারণা, যেখানে প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ঘোষণার পর কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে কোনো একটি সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হয়। ঢাকা শহরের সাম্প্রতিক আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়াবলি সামনে রেখে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্থাপত্য বিভাগ থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সর্বোচ্চ তিনটি দলকে মনোনীত করে।

‘দ্য লিসনিং স্পেস’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শ্যারেটের বিষয়বস্তু নির্ধারিত হয়, যেখানে ঢাকা শহরের এমন একটি কমিউনিটি স্পেসের ডিজাইন করতে বলা হয়, যেখানে নিজ বসতি ও কর্মক্ষেত্রের বাইরে মানুষ তাদের সময় কাটাতে পারে, শহুরে জীবনের ক্লান্তি ও কোলাহল উপেক্ষা করে প্রকৃতিকে শুনতে পারে, নিস্তব্ধতাকে উপভোগ করতে পারে। দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রতিযোগী দলগুলো তাদের নানা উদ্ভাবনী ভাবনা তুলে ধরে।

বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন স্থপতি সায়েদুল হাসান রানা, স্থপতি মাহমুদুল ইসলাম ফরহাদ এবং স্থপতি রবিউল ইসলাম। ৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশ এবং পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে চার দিনব্যাপী এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ স্থাপত্য ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট স্থপতি আবু সাঈদ মোস্তাক আহমেদ।

বিচারকেরা জানান, বিজয়ী দলটি তাদের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শহরের প্লটগুলোয় বিদ্যমান সেটব্যাক বা পেছনের অব্যবহৃত জায়গাগুলোয়, যা সাধারণত অবৈধভাবে দখল কিংবা আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়, সেটিকেই একটি উপভোগ্য কমিউনিটি স্পেসে রূপান্তর করেছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড জ ইন শ য র ট স থপত ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ফ্রন্টের নতুন কমিটি

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১৯ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইভান তাহসীব ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন একই শিক্ষাবর্ষের শামসুল আলম মারুফ।

বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনে ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১৩তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ইভান তাহসীব বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।

কমিটিতে সহসভাপতি হয়েছেন খাদিজা তুল কুবরা, সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক তৌকির আহমেদ, অর্থ সম্পাদক সিদ্ধার্থ কুমার রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খিজির আল সিফাত, স্কুলবিষয়ক সম্পাদক পল্লব কুমার, সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক জুনায়েদুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক সাজু আহমেদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক দীপংকর রায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আহাম্মদ নাঈম। কার্যকরী সদস্য ফারিহা তাসনিম, মিশকাতুল জামান, তাজুল ইসলাম, সৌরভ আহমেদ, তাজ‌ওয়ার ইসলাম, নাজিব মাহমুদ ও রিয়াদ সরকার।

কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ।

কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির স্কুলবিষয়ক সম্পাদক দীপা মজুমদার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ