ভালোবাসাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে পরীমণি লাইভে যে কাণ্ড করলেন
Published: 16th, February 2025 GMT
চিত্রনায়িকা পরীমণি। সামাজিক মাধ্যমেও তিনি বেশ সরব। ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে এই অভিনেত্রী জানান, রাত ১০টায় নিজের ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিবেন।
ঘোষণামতে ঠিক ১০টার ঘরে, তার মিনিট কয়েকের মধ্যেই লাইভে এলেন পরীমণি।
লাইভের শুরুতেই নাটকীয়তা করেন এই নায়িকা। মুখ দেখাননি তার। ঘরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অজস্র গোলাপের পাপড়ি, রঙিন বেলুন এবং সেসবের ফাঁকে ফাঁকে প্রদীপের আলো জ্বলা ওতভরিঅ ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে ফুয়াদ-শান্তর ‘তোমাকে ভেবে লেখা’ গানটি। হঠাৎ সেই ঘোর ভেঙে একেবারে সেজেগুজে হাজির অভিনেত্রী!
হাসিখুশি মনে পরী বলেন, ‘সবাইকে বলেছিলাম আজকে আমার ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিব। সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে, আপনাদের সামনে আমার ভালোবাসাকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাচ্ছি এই মুহূর্তেই।’
ভক্তদের চমকে দিয়ে একজনকে ডাকলেন পরীমণি। তবে মাতৃত্বকালীন কিছু পোশাকে সেই লোকটির মুখ ঢাকা ছিল! যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায় যে, তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। নাম রুহুল চৌধুরী, যিনি মা ও শিশুদের জন্য পরীর নতুন ব্র্যান্ড ‘বডি’তে কাজ করছেন।
ইতিমধ্যে খোলাসা হয়ে যায় যে, ভ্যালেন্টাইন বলতে অভিনেত্রী তাঁর নতুন ব্র্যান্ডকেই বুঝিয়েছেন। লাইভে কিছুটা খুনসুটিতেও মেতে উঠতে দেখা যায় পরীমণিকে। ফ্যাশন ডিজাইনার রুহুলকে মিষ্টি করে একটি চড়ও মারেন!
পরী জানান, মাতৃত্বকালীন সময়ে মা ও বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু পাওয়া যাবে বডিতে। নায়িকার ভাষ্য, ‘বডি হচ্ছে এমন একটা প্রোজেক্ট, যেটা কিনা আমার ভালোবাসা দিয়ে সাজানো। সমস্ত ভালোবাসা দিয়েই এটা তৈরি। শুধু মা এবং বাচ্চাদের জন্য। কারণ আপনারা মা হিসেবে আমাকে এত বেশি ভালোবাসেন, পছন্দ করেন; এত বেশি অ্যাপ্রেসিয়েট করেন—আমার মনে হয় মাদারহুডের যে জার্নিটা আমি করেছি, সেই জার্নিতে যেভাবে যেভাবে সাফার করেছি, যে প্রবলেমগুলো আমি মোকাবিলা করেছি—সেগুলোকে অনেকটা সহজ করে দিবে বডি।’
এরপর রুহুল বলেন, ‘ও (পরী মণি) তো খুব ভালো করেই বুঝিয়ে বললো যে, কেন সে এই প্রোজেক্টে যুক্ত হয়েছে। তবে আমি যেটা বলতে পারব—সেটা হলো প্রোজেক্টের জন্য সে কী কী কষ্ট করেছে। ব্যক্তিগত জার্নি তো শেয়ার করেছেই, সেটার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া। ম্যাটারনিটি আইটেম দিয়ে আমরা শুরু করেছি। দিন দিন সেখানে প্রেগন্যান্সি চলাকালীন মায়েদের যেসব প্রোডাক্ট দরকার এবং বাচ্চাদের জন্য যা যা দরকার সবই আমরা একটা একটা করে যোগ করব। সেটা আপনাদের ভালোবাসার ওপর নির্ভর করবে, কীভাবে সাড়া দেন সেটার ওপর নির্ভর করবে।’
একপর্যায়ে পরী-রুহুলের সঙ্গে যুক্ত হন লামিয়া নামের আরও একজন। মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন পোশাকের প্রদর্শনী করেন তাঁরা।
লাইভের শেষদিকে পরীমণি বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটু একটু করে এগোব, এই আশা করি। সেই ভরসাটা রেখেই আজ থেকে বডি আপনাদের হয়ে গেল। আমার জন্য দোয়া করবেন, আমার বাচ্চাদের জন্য দোয়া করবেন। পৃথিবীর সমস্ত মায়েরা ভালো থাকবেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যেভাবে ভালো থাকবে এসি
প্রতিটি যন্ত্রেরই চাই যত্ন। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসিও এর ব্যতিক্রম নয়। নিয়মিত দেখভাল করতে হয় এ যন্ত্রটিকেও। এসি রক্ষণাবেক্ষণ আদতে খুব কঠিন কাজ নয়। তবে এ ব্যাপারে দক্ষ পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া উচিত। অদক্ষ হাতে পড়লে যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে। পরে মুশকিলে পড়তে পারেন আপনি।
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চিফ বিজনেস অফিসার (এসি) মো. তানভীর রহমান বলছিলেন, বছরে অন্তত দুবার এসি রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষ ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। যে প্রতিষ্ঠান থেকে এসি কেনা হয়েছে, সেখান থেকেই সব ধরনের বিক্রয়োত্তর সেবা নেওয়া উচিত। রক্ষণাবেক্ষণের কাজটিও তাদের দিয়েই করানো ভালো। যন্ত্রের ভেতরকার সব ঠিকঠাক আছে কি না, তা যেমন দেখে দেবেন দক্ষ পেশাদার ব্যক্তি, তেমনি তা সতর্কতার সঙ্গে পরিষ্কারও করে দেবেন তিনি।
যেমন যত্ন চাইএসি রক্ষণাবেক্ষণে বছরের যে দুই সময় পেশাদার ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন, তার একটি হলো গরমের শুরুতে। শীতের সময় দীর্ঘদিন এসি ব্যবহার হয় না। গরমের শুরুতে, এসি ব্যবহার শুরুর আগেই তাই দেখিয়ে নিতে হবে ঘরের ভেতর এবং বাইরের দিকে থাকা এসির সব অংশই। এসির যে অংশ ঘরের বাইরে আছে, সেখানে উচ্চ ভোল্টেজ থাকে। অদক্ষ ব্যক্তির এখানে হাত দেওয়াটা বিপজ্জনক। এই অংশে ময়লা-আবর্জনা জমা হতে পারে। আবার কোনো প্রাণী সেখানে আশ্রয়ও নিয়ে থাকতে পারে শীত মৌসুমে। তাদের সাবধানে সরিয়ে দিতে হবে, যাতে কোনো মানুষের ক্ষতি না হয় এবং প্রাণীটিও নিরাপদে চলে যেতে পারে। মনে রাখবেন, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য প্রতিটি সৃষ্টিই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার আশপাশে আশ্রয় নিলেও তাদের মারতে নেই। আর প্রচণ্ড গরমের মৌসুম পেরিয়ে গেলে আবার এসির ‘বিশ্রাম’-এর পালা যখন শুরু হবে, তখনো পেশাদার ব্যক্তিকে ডেকে এসির রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি করিয়ে নেবেন।
নিজেদের কিছু দায়িত্বমো. তানভীর রহমান জানালেন, তাঁরা তাঁদের গ্রাহকদের এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করার পরামর্শ দেন। কারণ, বাতাসের ধুলাবালি এসির ফিল্টারে জমে যায়। প্রতি মাসে নিজেই এই কাজ করে নিতে পারেন একজন গ্রাহক। বছরের যে সময়ে পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া হয়, প্রয়োজন হলে সেই সময়ই একজন গ্রাহক তাঁর কাছ থেকে এই যত্নের নিয়মটা শিখে নিতে পারেন। বাতাসে অতিরিক্ত ধুলাবালি থাকলে অবশ্য মাসে একবারের বেশিও এই যত্নের প্রয়োজন হতে পারে। যে মৌসুমে এসি ব্যবহার করা হয় না, তখন অবশ্য ফিল্টার পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই।
যত্নের অভাবে...সঠিকভাবে যত্ন না নেওয়া হলেই যে আপনার এসি দুম করে বন্ধ হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। তবে এসির কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে নিয়মিত যত্নের বিকল্প নেই। গ্রীষ্মের প্রখর রোদে আরামদায়ক ঠান্ডা হাওয়া পেতেই আপনি নিশ্চয়ই এসি কিনেছেন? বাতাসকে ঠান্ডা করে তোলার সেই কাজটাই কিন্তু ব্যাহত হতে পারে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। এসির বাতাসের প্রবাহ ঠিক রাখতে চাই নিয়মিত যত্ন। এসি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দুর্গন্ধও হয়। বিদ্যুৎ খরচও বাড়ে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, যত্নের অভাবেই বাড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণে মারাত্মক কোনো বিপর্যয় ঘটে যাক, এ তো কেউই চান না। তাই নিয়ম মেনে চলার চর্চা করাই ভালো।
এসি চালানোর সময়বাইরে থেকে ফেরার পর খুব গরম লাগলে কী করেন আপনি? অনেকে হয়তো এমন পরিস্থিতিতে খুব কম একটা তাপমাত্রা ‘সেট’ করে দেন এসিতে। একটু বেশি গরম অনুভব করলেই অনেকে এরকমটা করে থাকেন। এটি কিন্তু আদতে খুব একটা ভালো অভ্যাস নয়। এসি নিঃসন্দেহেই আরামের অনুষঙ্গ। তবে তার মানে আবার এও নয় যে আপনি অন্দরকে অতিরিক্ত ঠান্ডা করে রাখবেন। খুব গরম থেকে এসে অতিরিক্ত ঠান্ডায় কারও কারও শরীর খারাপ করতে পারে। উল্টোটা ঘটলে, অর্থাৎ খুব ঠান্ডা থেকে বাইরের গরম পরিবেশে যাওয়ার প্রয়োজন পড়লেও কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই সব সময় স্বস্তিদায়ক, মাঝারি ধরনের একটা তাপমাত্রায় এসি চালানো উচিত। তা সবদিক থেকেই ভালো। এটি কিন্তু পৃথিবীর প্রতি আপনার দায়িত্বশীলতারও পরিচায়ক। এসির তাপমাত্রা অতিরিক্ত না কমিয়ে বরং এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যানও চালিয়ে নিতে পারেন আপনি। তাহলে ঠান্ডা বাতাসটা ঠিকঠাক ছড়িয়ে পড়বে পুরো ঘরে। আপনি আরাম অনুভব করবেন।