বগুড়ায় আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক বিপুল হত্যার প্রধান আসামি জুম্মান কসাইকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের চকযাদু রোডে সেলিম হোটেলের সামনে থেকে র‍্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে, জুম্মান কসাইসহ কয়েকজন গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে বগুড়া শহরতলীর মাটিডালি বিমান মোড় এলাকায়  সানসাইন আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক বিপুল মিয়াকে (৪২) ছুরিকাঘাত করে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বিপুল মারা যান।

নিহত বিপুল গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি বগুড়া শহরের মাটিডালী এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে সানসাইন আবাসিক হোটেলে ব্যবস্থাপক পদে চাকরি করতেন।

র‍্যাব-১২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ ব‌লেন, “গ্রেপ্তা‌রের পর জুম্মান আমা‌দের জানি‌য়ে‌ছেন, চাঁদা দাবি করে না পেয়ে বিপুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। জুম্মানকে আজ বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/এনাম/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে ‘উগ্র বামপন্থিদের’ ভোট দিতে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া নিয়ে ফের মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল যেন তারা ‘উগ্র বাম কমিউনিস্টদের’ ভোট দিতে পারে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ট্রাম্প।

এর আগে, গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে গভর্নরদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “২৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে, যার নাম কেউই শোনেনি। ২৯ মিলিয়ন ডলার! তারা চেক পেয়েছে। কল্পনা করতে পারেন?”

আরো পড়ুন:

সরকারি কর্মচারীদের কাজের হিসাব চাইলেন মাস্ক, না দিলেই বিদায়

বাংলাদেশে পাঠানো ২৯ মিলিয়ন ডলার গিয়েছিল দুই কর্মীর প্রতিষ্ঠানে: ট্রাম্প

সমালোচনা করে ট্রাম্প আরো বলেন, “তোমার একটা ছোট প্রতিষ্ঠান আছে, এখান থেকে ১০ হাজার ডলার, ওখান থেকে ১০ হাজার ডলার করে পায়, আর তারপর হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়ে যায়! ওই প্রতিষ্ঠানে মাত্র দু’জন লোক কাজ করে। দু’জন! আমি মনে করি, তারা খুব খুশি। তারা এখন অনেক ধনী হয়ে গেছে। শিগগিরই তারা একটা নামকরা বিজনেস ম্যাগাজিনের কভারে চলে আসবে- মহাপ্রতারক হিসেবে!”

শনিবার সিপিএসি সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউএসএআইডির তহবিল নিয়ে আবারো সমালোচনা করেন।তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালীকরণের বিষয়টি ব্যবহার করা হয়েছে উগ্র বামপন্থি কমিউনিস্টদের ক্ষমতায় আনতে। বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার গেছে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলকে শক্তিশালীকরণ ও তাদের সহায়তা করতে; যাতে তারা উগ্র বাম কমিউনিস্টদের ভোট দিতে পারেন।”

বাংলাদেশ ছাড়াও ট্রাম্প ভারতে খরচ করা ১৮ মিলিয়ন ডলারেরও সমালোচনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে নির্বাচনের জন্য ১৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়। কেন? আমাদের নিজেস্ব নির্বাচনে সহায়তা করা উচিত, তাদের নয়।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় কমানো এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য ইলন মাস্কের নেতৃত্বে নতুন দপ্তর ‘ডিওজিই’ চালু করেন ট্রাম্প। এই দপ্তরের সুপারিশে সম্প্রতি ১১টি দেশে ইউএসএআইডির মোট ১৭টি মার্কিন সাহায্য প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলারের রাজনৈতিক পরিবেশ শক্তিশালীকরণের প্রকল্প ও ভারতে ২১ মিলিয়ন ডলারের ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর প্রকল্পও রয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ