কার দুর্ঘটনায় কে–পপ তারকা ফিলিক্সের একটি হাড় ভেঙে গেছে। শনিবার রাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন স্ট্রে কিডস গ্রুপের এই সদস্য। খবর কোরিয়া জুংআং ডেইলি

ফিলিক্সের এজেন্সি জেওয়াইপি এন্টারটেইনমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। গান থেকে আপাতত দূরে থাকছেন এই তারকা।

এজেন্সি জানিয়েছে, স্ট্রে কিডসের ফ্যান মিটিং শেষে ফেলার পথে ইনচনের ইয়াংজং আইল্যান্ডের ইন্সপায়ার রিসোর্টস কমপ্লেক্সের কাছে একটি শাটল বাসের সঙ্গে ফিলিক্সের কারের সংঘর্ষ হয়।

জেওয়াইপি এন্টারটেইনমেন্ট লিখেছে, ‘দুর্ঘটনাটি খুব গুরুতর নয়। তবে তাঁর হাতের হাড় ভেঙেছে। তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন।’

ফলে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে দূরে থাকছেন ফিলিক্স। শুক্রবার থেকে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্ট্রে কিডস। আজ রোববার আয়োজনের সমাপনী দিনে থাকতে পারছেন না ফিলিক্স।

প্রায় ১১ মাস পর কোনো ফ্যান মিটিং করছে স্ট্রে কিডস। সামনে লাতিন অ্যামেরিকা, জাপান, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপে গ্রুপটির শো রয়েছে।

আরও পড়ুন বিয়ে করলেন ফিলিপিনো অভিনেত্রী০২ আগস্ট ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।

ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।

কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।

কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।

২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ