কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর থানায় একপক্ষ মামলা দায়ের করলে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

শনিবার রাতে কাজী গ্রুপের আমজাদ আলী বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। রোববার  সকালে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আহত চারজনের মধ্যে তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয় এবং গুরুতর অসুস্থ রাজিব প্রামাণিককে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা গ্রামে মন্টু কাজী গ্রুপ ও আদালত প্রামাণিক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। কাজী গ্রুপ মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত এবং তাদের বেশ কয়েকটি নৌকা পদ্মা নদীতে রাখা ছিল।

শনিবার দুপুরে প্রামাণিক গ্রুপের সালাম কাজী গ্রুপের পাঁচটি নৌকার ছিদ্র করতে গিয়ে ধরা পরেন। এ সময় কাজী গ্রুপের লোকজন তাকে কিছুক্ষণ আটকে রাখার পর ছেড়ে দেন। পরে সালাম তার পক্ষের লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ কাজী পাড়ায় হামলা চালায়, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন—আদালত প্রামাণিক (৬০), তার ছেলে জিসান প্রামাণিক, তাহের প্রামাণিকের ছেলে রাজিব ও রাকিব, হাসেম সরদারের ছেলে শুভ, আজমতের ছেলে রাহিম, শহীদ কাজীর ছেলে সালাম কাজী, মিজানুর রহমান মন্টু, বিল্লাল হোসেন, শহীদ হোসেন, মন্টু কাজী, ঝন্টু কাজী, জিন্দার শিকদার, সাইদুল শিকদার ও সাজেদা খাতুন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—আদালত প্রামাণিক, রাকিব প্রামাণিক, ইতি খাতুন এবং রাজিব প্রামাণিক (পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন)।

প্রামাণিক গ্রুপের দাবি, কাজী গ্রুপের লোকজন তাদের এক সদস্যকে আটকে রেখেছিল। খবর পেয়ে গেলে প্রতিপক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় ও লুটপাট করে।

কাজী গ্রুপের মামলার বাদী আমজাদ আলী বলেন, প্রামাণিক গ্রুপের লোকজন আমাদের নৌকা ছিদ্র করেছে, এরপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের লোকজন আহত হয়েছে, তাই আমরা মামলা করেছি।

কুমারখালী থানার ওসি মো.

সোলায়মান শেখ বলেন, একপক্ষ মামলা করেছে, তবে অপরপক্ষ এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ল কজন দ র কর স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে নাবিল গ্রুপের এমডির স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ

নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহানের নামে থাকা আরও সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, আমিনুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা যেসব জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো রাজশাহীতে। এ ছাড়া নাবিল ফার্মা, নাবিল নাবা ফুডস ও আনোয়ার ফিডের নামে কেনা জমিও জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

৯ মার্চ আমিনুল ইসলাম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির ৭৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এ ছাড়া আমিনুল ইসলামের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, আমিনুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও ঘুষ–দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৭৩টি ব্যাংক হিসাবে ৯৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা জমা রয়েছে বলে দুদক জানিয়েছে।

আরও পড়ুননাবিল গ্রুপের সম্পদ জব্দ ও ৭৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ০৯ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ