আইপিএলের কারণেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অনীহা!
Published: 16th, February 2025 GMT
ব্যক্তিগত কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নাম তুলে নিয়েছেন অসি পেসার মিচেল স্টার্ক। তার আগে ইনজুরির কারণে প্যাট কামিন্সসহ আরও চারজন সরে দাঁড়িয়েছেন। সর্বশেষ ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহও চোটের কারণে দলে জায়গা পাননি। সাদা চোখে এটা ক্রিকেটের স্বাভাবিক ঘটনা।
তবে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে তাদের সন্দেহ আইপিএল খেলার কারণেই এত পেসার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যাচ্ছেন না। ৯ মার্চ শেষ হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, তার পর আইপিএল শুরু হবে ২২ মার্চ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যদি কেউ কোনো ধরনের চোটে পড়েন, তাহলে মাঝের এই ১৩ দিনে সুস্থ হয়ে মাঠে নামা কঠিন। সে কারণেই নাকি দিল্লি ক্যাপিটালসের স্টার্ক, বেঙ্গালুরুর জশ হ্যাজেলউড, কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রোটিয়া পেসার নরখিয়া আগ্রহ দেখাননি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন দল পুরস্কার পাবে ২ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা পেয়েছিল ৪ মিলিয়ন ডলার। বিশ্বকাপের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার অর্থের বিশাল এই ফারাকও অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে আকর্ষণ করতে পারেনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে তামাকের ব্যবহার কমেছে
বাংলাদেশে গত ১৩ বছরে তামাকের ব্যবহার কমেছে ৭ শতাংশ। তামাক নিয়ন্ত্রণে এমন অগ্রগতি থাকলেও ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এখনও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
আজ বুধবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের প্রবণতা ও পূর্বাভাস’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন বিএমইউর জার্নালের এক্সিকিউটিভ এডিটর অধ্যাপক ড. এম মোস্তফা জামান। সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোমেনা মনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মো. মামুনুর রশিদ।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২৫-৬৯ বছর বয়সী বাংলাদেশীদের তামাক ব্যবহার (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ২০০৯ সালে ৫৪ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে ৪৭ শতাংশে নেমেছে। ধূমপানের হার ২৭ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশ এ মেনেছে। ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার ৩৬ শতাংশ থেকে ৩১ শতাংশ। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে পুরুষদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের হ্রাস নারীদের তুলনায় কিছুটা বেশি। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় তামাক ব্যবহার কমলেও শহুরে অঞ্চলে হ্রাসের হার বেশি স্পষ্ট।
এম মোস্তফা জামান বলেন, বর্তমান যে হারে তামাক ব্যবহার কমছে, এই গতিতে এগোলে ২০৩০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমানোর বৈশ্বিক লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়। তথ্য বিশ্লেষণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এনসিডি (অসংক্রামক রোগ) প্রতিরোধ রোডম্যাপ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বর্তমান নীতিমালার গতি দ্বিগুণ করতে হবে।
গবেষণায় সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জোরদার করে বর্তমান হ্রাসের হার ত্বরান্বিত করতে হবে। ব্যবহারিক গবেষণা পরিচালনা করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নীতি ও আইনের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে, যাতে অপর্যাপ্ত হ্রাসের কারণ চিহ্নিত করা যায়।
ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, তামাক ব্যবহার বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য দায়ী এবং উদ্বেগজনক। এই ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে গণমানুষকে সম্পৃক্ত ও সচেতন করতে হবে। গণমাধ্যম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তামাক ব্যবহারের মাত্রা ও ঝুঁকি শহর ও গ্রাম পর্যায়ে আলাদাভাবে তুলে ধরা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্যে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক ব্যবহার হ্রাসে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়, তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আরও কঠোর নীতি ও সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।