অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপে ‘স্পার্কক্যাট’ ম্যালওয়্যারের সন্ধান, নিরাপত্তাঝুঁকিতে ব্যবহারকারীরা
Published: 16th, February 2025 GMT
অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলা বিভিন্ন অ্যাপে ‘স্পার্কক্যাট’ নামের ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারের সন্ধান পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি। এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ম্যালওয়্যারটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলা যেকোনো স্মার্টফোন থেকে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটের গোপন পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে পারে। এর ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য গুরুতর নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ক্যাসপারস্কির তথ্যমতে, স্পার্কক্যাট ম্যালওয়্যার সাধারণ ম্যালওয়্যারের চেয়ে বেশ জটিল ও উন্নত। এটি ব্যবহারকারীদের ফোনে থাকা ছবি স্ক্যান করেও ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। শুধু তা–ই নয়, স্মার্টফোনের নিয়ন্ত্রণ একবার ম্যালওয়্যারটির হাতে চলে গেলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের তথ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারেন। এর ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি বড় ধরনের সাইবার হামলার শিকার হতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
আরও পড়ুনস্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার থাকার ৬ লক্ষণ১১ নভেম্বর ২০২৪ক্যাসপারস্কির গবেষণায় দেখা গেছে, স্পার্কক্যাট মূলত একটি ক্ষতিকর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট (এসডিকে), যা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে থাকা ২৮টি অ্যাপে ম্যালওয়্যারটির সন্ধান পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ‘চ্যাটএআই’ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অ্যাপ। অ্যাপটি ইতিমধ্যে এক লাখের বেশি ব্যবহারকারী ডাউনলোড করেছেন।
আরও পড়ুনএসএমএসের মাধ্যমে ফোনে ছড়াচ্ছে নতুন এক ম্যালওয়্যার১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, অপরিচিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত নয়। অ্যাপ ডাউনলোডের আগে অন্য ব্যবহারকারীদের মতামত বা রিভিউ পর্যালোচনা করার পাশাপাশি প্রায়োজন ছাড়া ক্যামেরা, মাইক্রোফোন বা অবস্থান শনাক্তকরণের অনুমতি চাওয়া অ্যাপ এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়া নিয়মিত হালনাগাদ সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: নিউজ ১৮
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এয়ারপডসে আসছে সরাসরি অনুবাদ–সুবিধা
অ্যাপলের ইয়ারবাড এয়ারপডসে এবার সরাসরি (লাইভ) অনুবাদ–সুবিধা যুক্ত হচ্ছে। নতুন এই সুবিধা আইওএস ১৯ হালনাগাদের অংশ হিসেবে যুক্ত হবে; যা ২০২৫ সালের জুনে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপারস কনফারেন্সে (ডব্লিউডব্লিউডিসি) উন্মোচন করা হতে পারে।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারপডসের সঙ্গে আইফোনের অনুবাদ অ্যাপ সমন্বিতভাবে কাজ করবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা সরাসরি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ শুনতে পারবেন। নতুন এই সুবিধা ভ্রমণকারী, বহুভাষিক ব্যবহারকারী ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী হতে পারে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী এয়ারপডস পরে থাকলে আইফোন আশপাশের কথপোকথন শনাক্ত করবে, তা অনুবাদ করবে এবং ব্যবহারকারীর কানে সরাসরি শুনিয়ে দেবে। উদাহরণ হিসেবে একজন ইংরেজিভাষী ব্যবহারকারী এয়ারপডস পরে আছেন এবং তার সঙ্গে একজন স্প্যানিশভাষী কথা বলছেন। আইফোন সেই কথোপকথন শনাক্ত করে ইংরেজিতে অনুবাদ করবে এবং সেটি এয়ারপডসে শোনাবে। একইভাবে ইংরেজিভাষী ব্যক্তির উত্তর আইফোন স্প্যানিশে অনুবাদ করে উচ্চারণ করবে, যাতে অপর ব্যক্তি সেটি বুঝতে পারেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, নতুন এই সুবিধা স্মার্ট অডিও যন্ত্রের বাজারে অ্যাপলকে আরও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে নিয়ে আসবে। গুগলের পিক্সেল বাডস প্রো ২ ও স্যামসাং গ্যালাক্সি বাডস ৩ প্রো-তেও একই রকম অনুবাদ–সুবিধা রয়েছে। তবে অ্যাপলের উন্নত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার সমন্বয়ের কারণে এর অনুবাদ অভিজ্ঞতা আরও নিখুঁত হতে পারে।
সরাসরি অনুবাদ–সুবিধার পাশাপাশি আইওএস ১৯–এর নতুন হালনাগাদে অনুবাদ অ্যাপে বেশ কিছু নতুন সুবিধা যোগ করা হচ্ছে; যা অনুবাদব্যবস্থাকে আরও দ্রুত ও নির্ভুল করবে। এ ছাড়া অ্যাপল তৃতীয় প্রজন্মের এয়ারপডস প্রো এবং একটি সম্পূর্ণ নতুন মডেল তৈরির কাজ করছে। যেখানে বিল্ট-ইন ক্যামেরা ও অন-ডিভাইস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) থাকবে। নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর চারপাশ বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া