সাভারের আশুলিয়ায় বাসাবাড়ির রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজন মারা গেছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সুমন মিয়া (৩০) নামে একজন মারা যান। তার শরীরের ৯৯ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। 

এর আগে শিউলি আক্তার (৩২) নামে একজন মারা গেছেন। রোববার রাত ৩টা ২৫ মিনিটে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাঁর মৃত্যু হয়। বার্ন ইনস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, শিউলি আক্তারের শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় দগ্ধ আরও ৯ জন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

ইনস্টিটিউট সূত্র জানিয়েছে- দুর্ঘটনায় আটজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশি গুরুতর যাদের শরীরে যথাক্রমে ৯৯ শতাংশ, ৯৫ শতাংশ, ৪২ শতাংশ ও ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। শারমিন নামে দগ্ধ একজনকে মেকানিকাল ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে। তার শরীরে ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। 

শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকায় আমজাদ ব্যাপারীর আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় গ্যাস সিলিন্ডারের এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ দগ্ধ হয়েছেন ১১ জন। আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে দগ্ধদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকায় আমজাদ ব্যাপারীর আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা অন্যরা হলেন- সূর্য্য বানু (৫৫), জহুরা বেগম (৭০), মনির হোসেন (৪৩), সোহেল (৩৮), শারমিন (২৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও সুরাহা (৩)।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাবাশ বাংলাদেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকদিয়ে ঢুকলেই নিতুন কুন্ডুর তৈরি ‘সাবাশ বাংলাদেশ’ ভাস্কর্যটি চোখে পড়ে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেসব অকুতোভয় শিক্ষক-ছাত্র প্রাণ উৎসর্গ করেন তাদের স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় এ ভাস্কর্যটি। ১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় ৪০ বর্গফুট জায়গার ওপর ভাস্কর্যটি দাঁড়িয়ে আছে। এতে দু’জন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি রয়েছে। একজন রাইফেল উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন আর তাঁর বাম বাহুটি মুষ্টিবদ্ধ করে জাগানো। অন্যজন রাইফেল হাতে দৌড়ের ভঙ্গিতে রয়েছেন। তার পরনে প্যান্ট, মাথায় এলোমেলো চুলের প্রাচুর্য, যা কিনা আধুনিক সভ্যতার প্রতীক। এ দু’জন মুক্তিযোদ্ধার পেছনে ৩৬ ফুট উঁচু একটি দেওয়ালও দাঁড়িয়ে আছে। দেওয়ালের ওপরের দিকে রয়েছে একটি শূন্য বৃত্ত, যা দেখতে সূর্যের মতোই। ভাস্কর্যটির নিচের দিকে ডান ও বাম উভয় পাশে ছয় ফুট বাই পাঁচ ফুট উঁচু দুটি ভিন্ন চিত্র খোদাই করা হয়েছে। ডান দিকের দেওয়ালে রয়েছেন দু’জন যুবক-যুবতী। বাম দিকের দেওয়ালে রয়েছে মায়ের কোলে শিশু, দু’জন যুবতী একজনের হাতে পতাকা। পতাকার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে গেঞ্জি পরা এক কিশোর। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
  • শ্রম ভবনের সামনে বেতনের দাবিতে আন্দোলন, অসুস্থ হয়ে একজনের মৃত্যু
  • কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ীকে খুন—‘অনেক যন্ত্রণা ও কষ্ট দিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে’
  • বদলির পরও যাচ্ছিলেন না বিএমডিএ’র ইডি, বের করা হলো জোর করে
  • যেভাবে ভালো থাকবে এসি
  • ‘ডিভোর্সের পর বাচ্চাদের সঙ্গে ওদের বাবার সম্পর্ক নষ্ট করিনি’
  • ইসরায়েলি হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা নিহত
  • ৮২ বছর বয়সেও লড়াকু রানী হামিদ
  • নাফ নদীতে ৩৩ বিজিবি সদস্য নিখোঁজের বিষয়টি গুজবনির্ভর অপপ্রচার: বিজিবি
  • সাবাশ বাংলাদেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়