সিটির জার্সিতে হ্যাটট্রিক করা কে এই মারমুশ
Published: 16th, February 2025 GMT
২০২২ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে আর্লিং হলান্ডই দলের প্রধান গোলদাতা। প্রথম মৌসুমে লিগে ৩৬টিসহ মোট ৫২ গোল, পরের মৌসুমে ৩৮ আর এবার এরই মধ্যে ২৭। টানা তিন মৌসুম গোলের মধ্যে থাকা হলান্ডের হ্যাটট্রিক সংখ্যাও অবিশ্বাস্য—১১টি। তবে হলান্ডের এত হ্যাটট্রিকের একটিও গতকাল রাতে ওমর মারমুশের মতো দ্রুততম সময়ের নয়।
শনিবার প্রিমিয়ার লিগে নিউক্যাসলের বিপক্ষে ১৩ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের মধ্যে তিন গোল করেছেন মারমুশ। এ বছরই সিটিতে নাম লেখানো এই ফরোয়ার্ড প্রিমিয়ার লিগে গোলই করেছেন এই প্রথম। স্বাভাবিকভাবেই মারমুশকে নিয়ে কৌতূহল আছে অনেকেরই।
২৬ বছর বয়সী মারমুশ মিশরের খেলোয়াড়। জানুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহে শীতকালীন দলবদলে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন তিনি। ৭ কোটি ইউরোয় ইতিহাদে আসার আগে মারমুশ ছিলেন জার্মান ক্লাব আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টে। সিটির মতো ক্লাবে খেলতে চাইবেন যে কেউই। মারমুশও আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সইয়ের পর বলেছিলেন, ‘এই দিনটার কথা আমি কখনোই ভুলব না। ম্যানচেস্টার সিটির মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবে যোগ দেওয়ার অনুভূতি অসাধারণ। আমি অভিভূত। পরিবারও গর্বিত।’
২০১৭ সাল থেকে জার্মান ফুটবলে খেলছেন মারমুশ। উল্ফসবার্গ হয়ে খেলেছেন, এরপর সেন্ট পাউলি, স্টুটগার্টেও। মারমুশকে ম্যানচেস্টার সিটিতে আনাটা দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা থেকে হয়নি। সর্বশেষ চার আসরে লিগ শিরোপা জেতা সিটি এ বছর বাজে সময় কাটাচ্ছে। মৌসুমের মাঝপথে টানা ১৩ ম্যাচের মধ্যে জিতেছে মাত্র ১টি। চ্যাম্পিয়নস লিগে ভালো করতে না পারায় খেলতে হচ্ছে নকআউট প্লে-অফেও। এই জয়খরার সময়ে সিটি ভুগেছে গোলখরায়।
নিউক্যাসলের বিপক্ষে এমন গোলের উদ্যাপন তিনবার করেছেন মারমুশ।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রমনা বটমূলে গান–কবিতা–উচ্ছ্বাসে ছায়ানটের বর্ষবরণ, বিভাজন ভাঙার প্রত্যয়
পুব আকাশে সবে লাল সূর্য উঠতে শুরু করেছে। মঞ্চে প্রস্তুত শিল্পীরা। সামনে দর্শকসারিতে ভিড় জমে গেছে। শিল্পী সুপ্রিয়া দাশ গেয়ে উঠলেন ‘ভৈরবী’ রাগালাপ। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের পালা। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর রমনা বটমূলে এর আয়োজন করে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট।
রাগালাপের পর ‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’ সম্মেলক গান শোনান ছায়ানটের শিল্পীরা। ‘তিমির দুয়ার খোলো’ একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী দীপ্র নিশান্ত। পাখিডাকা ভোরে, সবুজের আচ্ছাদনে দর্শনার্থীরা যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন এ আয়োজন।
এরপর একে একে ২৫টি রাগালাপ, গান আর আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ছায়ানটের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত। এ সময় কণ্ঠ মেলান উপস্থিত হাজারো দর্শক। এর মধ্য দিয়ে এবারের আয়োজন শেষ হয়।
তবে অনুষ্ঠান শেষের আগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতার বিপর্যয় এবং গণহত্যায়, বিশেষ করে শিশু হত্যার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা। ফিলিস্তিনিরা আপন ভূমি রক্ষায় যে সংগ্রাম করছেন, তার প্রতিও সংহতি জানানো হয়।
এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। রমনার বটমূল, ঢাকা, ১৪ এপ্রিল