‘অনুদানে তৈরি সিনেমা মানুষ দেখেন না’
Published: 16th, February 2025 GMT
“বাংলাদেশে অনুদানে তৈরি করা সিনেমা মানুষ দেখেন না। পরিকল্পনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ফান্ড তৈরি করে সিনেমা বানানো উচিত”— এভাবেই কথাগুলো বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা বিভাগের চলচ্চিত্র ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।
চলচ্চিত্র শিল্পের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নিজের দায়িত্বকালে এই সমস্যাগুলো সমাধানের কাজ শুরু করে যাওয়ার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
সনির সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে মিম
কাঞ্চনকে না পেলে বিয়েই করতাম না: শ্রীময়ী
দেশে নতুন একটি প্রজন্ম সংস্কৃতিমনা হয়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নতুনরা রাষ্ট্রের কোনো সহযোগিতা নিয়ে বড় হয়নি। বরং তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে গল্প বলার দিকে এগিয়েছে।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
এক টাকায় ১৮ পণ্যের ঈদ উপহার
গাইবান্ধায় ভিন্নধর্মী আয়োজন ‘এক টাকার বাজার’ নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘আমাদের গাইবান্ধা’। শনিবার (২৯ মার্চ) শহরের ডিবি রোডের স্বাধীনতা রজতজয়ন্তী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এই বাজার থেকে জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকার নিম্নবিত্ত ও সুবিধাবঞ্চিত ২৫০ জন ক্রেতা মাত্র ১ টাকায় একটি কুপন দিয়ে ১৮ ধরনের পণ্য কিনেছেন।
এক টাকার বাজার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আমাদের গাইবান্ধা সংগঠনের সভাপতি সায়েম রহমানসহ উপদেষ্টা এবং সদস্যরা।
আরো পড়ুন:
১০ টাকার ঈদবাজারে ৪০০ পরিবারের মুখে হাসি
খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ
এক টাকার প্রতীকী মূল্যে এ সব পণ্যের মধ্যে ছিল সোনালী মুরগি, আলু, বাঁধাকপি, বেগুন, চাল, সয়াবিন তেল, ডাল, সুজি, চিনি, নুডলস, সেমাই, গুড়া দুধ, লবণ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, লেবুসহ কয়েক পদের সবজি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ এক টাকার টোকেন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, কেউ আবার টোকেন দিয়ে বাজার করছেন। সবার চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। ঈদ উপলক্ষে এক টাকায় প্রয়োজনীয় সবকিছু পেয়ে ভীষণ খুশি তারা।
এক টাকার বাজার করতে শহরের খানকা শরীফ এলাকা থেকে এসেছিলেন জহুরা বেগম ও আলেয়া বেগম। তারা জানান, প্রতিবছর এক টাকার বাজারের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘এক টাকাত এতগুলা বাজার পায়া (পেয়ে) হামার খুব ভালো লাগতিছে।’’
এ বিষয়ে আয়োজক সদস্যরা জানান, প্রয়োজন অনুসারে বাছাই করে সেসব পণ্য দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ‘আমাদের গাইবান্ধা’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুসাভির রহমান রিদিম জানান, তাদের সংগঠনের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। ঈদ উপলক্ষে তাদের এই বিশেষ আয়োজন। এর আগের কয়েকটি ঈদেও তারা এমন আয়োজন করেন। বাজার বসার আগে যারা সুবিধাবঞ্চিত তাদের খুঁজে এই টোকেন দেওয়া হয়।
আমাদের গাইবান্ধার সভাপতি সায়হাম রহমান বলেন, ভবিষ্যতেও এমন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
ঢাকা/মাসুম/বকুল