দিস ইজ নট ফুটবল, দিস ইজ লা লিগা!
Published: 16th, February 2025 GMT
রিয়াল মাদ্রিদের সাথে আসলে হচ্ছেটা কী? এস্পানিওলের বিপক্ষে লা লিগা ম্যাচের পরই রিয়ালের পক্ষ থেকে রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর লস ব্ল্যাঙ্কসরা আরও ৪টি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে দুটি লা লিগায় এবং একটি করে কোপা দেল রে এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে। প্রতি ম্যাচেই কিছু না কিছু সিদ্ধান্ত মাদ্রিদের অভিজাতদের বিপক্ষে গিয়েছে। তবে রিয়াল সমর্থকদের দাবি- ওসাসুনার বিপক্ষে যা ঘটেছে তার ফুটবলীয় ব্যাখ্যা অন্তত নেই।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) রাতে লা লিগার ম্যাচে ওসাসুনার বিপক্ষে ১-১ ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। খুইয়েছে ২ পয়েন্ট। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে রিয়ালের জুড বেলিংহ্যাম রেফারি মুনুয়েরা মন্তেরোকে কিছু একটা বলেন। এরপরই এই ইংরেজ মিডফিল্ডারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। সমস্যার শুরু এখানেই।
বেলিংহ্যাম যখন লাল কার্ড দেখেন, রিয়াল তখন ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে। তবে পরে ১০ জনের দল নিয়ে রিয়াল বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেননি। লা লিগা পয়েন্ট তালিকায় ২৪ ম্যাচ শেষে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে এখনও শীর্ষস্থানে আনচেলত্তির দল। তবে এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা সোমবার রাতে রায়ো ভায়াকানের বিপক্ষে জিতেলেই শীর্ষস্থান হারাবে রিয়াল।
আরো পড়ুন:
দশ জনের দল নিয়েও বার্সার বড় জয়
বিতর্কিত পেনাল্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি দুই মাদ্রিদের: আড়ালে বার্সার হাসি
এদিকে স্প্যানিশ দৈনিক এএস এর ভাষ্য অনুযায়ী, খেলা শেষে রেফারি যে প্রতিবেদনে লিখেছেন- বেলিংহ্যাম তাকে ‘ফাক ইউ’ বলেছেন। তবে ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমকে বেলিংহাম স্পষ্ট বলেন, “আমি রেফারির প্রতি সম্মান রেখেই ‘ফাক অফ’ বলেছি।”
বেলিংহাম যা দাবি করছেন সে অনুযায়ী শব্দটি বিরক্তি প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। বাংলায় যার শাব্দিক অনুবাদ- বাদ দাও, দূর হও, কিংবা চুপচাপ চলে যাও। অন্যদিকে রেফারি যে শব্দটির কথা লিখেছেন, সেটি গালি বা অপমানসূচক শব্দ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে সারা পৃথিবীতে।
বেলিংহ্যামের দাবি, “আপনারা ঘটনার ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবেন আমি শুধু একটা ভাব প্রকাশ করেছি। একটা ভুল–বোঝাবুঝির কারণেই সমস্যা হয়েছে। আমি রেফারিকে অপমান করিনি। রেফারিই ভুল করেছেন।”
ম্যাচের পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল বস আনচেলত্তি বলেন, “আমার মনে হয় না রেফারি বেলিংহ্যামের ইং লিশ বুঝতে পারেননি। সে (বেলিংহ্যাম) ‘ফাক অফ’ বলেছে, ‘ফাক ইউ’ না।”
এরপর এই ইতালিয়ান ম্যানেজার তার ক্ষোভের কথা জানিয়ে বলেন, “(রেফারিং নিয়ে) একটা সমস্যা আছে। সর্বশেষ তিন ম্যাচেই আমাদের সঙ্গে এমন হয়েছে, যা হওয়া উচিত ছিল না।”
লা লিগার কর্তৃপক্ষ এবং রেফারিং নিয়ে মহা বিরক্ত হলেও আনচেলত্তি বেশি কিছু বললেন না। কারণ বেশি বলে ফেললে উল্টো ন্তাকে শাস্তির মুখোমুখি করবে তারা, “আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলব না। কারণ, পরের ম্যাচেও ডাগআউটে দাঁড়াতে চাই।”
এত কিছুর পরও কর্তৃপক্ষ যদি রেফারির রিপোর্টের ভিত্তি সবকিছু পর্যালোচ না ক্লরেন তাহলে কমপক্ষে ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা হবে বেলিংহ্যামের, সর্বোচ্চ ১২ ম্যাচ।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতালে তামিম, মোহামেডানের জয় ছাপিয়ে প্রশ্ন, খেলা বন্ধ হলো না ক
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে সোমবার সকালে ঠিকঠাক বিকেএসপিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সতীর্থদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমের বাইরে খুনসুটি শেষে শরীর গরম করে মাঠে নামার প্রস্তুতিও নিয়ে নেন। এরপর টসও করতে যান মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক।
কিন্তু ড্রেসিংরুমে ফেরার পরই টের পেতে থাকেন শরীর সাড়া দিচ্ছে না। বুক চেপে আসছে। ততক্ষণে বাকিরা বুঝে যান, তামিম হার্ট অ্যাটাক করেছেন। সঙ্গে সঙ্গেই তামিম নিয়ে হুলস্থূল লেগে যায়। তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নেওয়া হয় প্রস্তুতি। প্রথমে মাইনর ও পরে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে’ অজ্ঞান হয়ে পড়া তামিমকে গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ব্যবস্থা করা হয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
কিন্তু তামিমের জ্ঞান ফেরাতে ওদিকে চিকিৎসকরা চেষ্টার ত্রুটি রাখছিলেন না। ২২ মিনিট সময় ধরে সিপিআর ও তিনটি ডিসি শক দিতে হয়েছে। এরপর দ্রুত এনজিওগ্রাম করে শতভাগ ব্লক থাকা একটা আর্টারিতে রিং লাগিয়েছে ডাক্তাররা। অবিশ্বাস্য গতিতে হয়েছে সবকিছু। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তামিমের জ্ঞান ফিরেছে এবং কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গে। তবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
তামিমের এই অবস্থার ভেতরেও বিকেএসপিতে চলেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচ। সচরাচর এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ অফিসিয়ালরা খেলা স্থগিত করেন। কিন্তু বিকেএসপি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে তামিম যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তখন মাঠে তার সতীর্থরা খেলছিলেন। মিরাজ সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছেন ৭ উইকেটে।
স্থগিত না করে কীভাবে খেলা চললো, সেটাই এখন বিরাট প্রশ্নের। এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সিসিডিএমের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মোহামেডানের ইচ্ছাতেই খেলা চালিয়ে নিয়েছেন তারা। দুই দলকেই সিসিডিএম এবং ম্যাচ অফিসিয়ালরা ম্যাচ স্থগিত করার কথা জানান। কিন্তু ম্যাচটি খেলতে রাজি হয় দুই দলই। এজন্য খেলা বন্ধ হয়নি।
তার ভাষ্য, ‘‘মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব খেলা চালিয়ে যেতে চাইছিল। শাইনপুকুরও তাই। তারা কেউই চায়নি খেলা বন্ধ হোক। আমরা শুরুতে ভেবেছিলাম এরকম পরিস্থিতিতে খেলা বন্ধ করা যায় কি না। এজন্য ক্লাবগুলোকে জানানো হয়। কিন্তু তারা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলা চালিয়ে নেয়।’’
জানা গেছে, দুই দলই চেয়েছে ড্রেসিংরুমে কিংবা মাঠে আতঙ্ক সৃষ্টি না করতে। তাতে মাঠের ভেতরে ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। খেলা শেষে মুশফিক, মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ, আরিফুলরা ছুটে গেছেন তামিমকে দেখতে হাসপাতালে। কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটের কাছাকাছি গিয়ে দেখাও করেছেন দুয়েকজন।
ঢাকা/ইয়াসিন/এনএইচ