Risingbd:
2025-04-09@22:29:28 GMT

সনির সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে মিম

Published: 16th, February 2025 GMT

সনির সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে মিম

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। নাটক, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ ও বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করছেন। কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে অবকাশ যাপনের জন্য স্বামীকে নিয়ে মালদ্বীপ উড়ে গিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

স্বামী সনি পোদ্দারের সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন সৈকত ও সেখানকার মোহনীয় প্রাকৃতিক পরিবেশে চমৎকার কিছু মুহূর্ত উপভোগ করছেন মিম। ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতেই এ দম্পতির মালদ্বীপ সফর। সমুদ্রের জলে কমলা রঙের বিকিনিতে ঝড় তুলতে দেখা গেল এই অভিনেত্রীকে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছেন মিম। যেখানে সৈকতের পাশে মোহমীয় রূপে দেখা যায় মিমকে।

আরো পড়ুন:

স্বামীকে নিয়ে টাইমস স্কয়ারে মিম

ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন মিম

মিমের এই পোস্টে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। বিশেষ করে এই নায়িকার অনুরাগীদের অধিকাংশ তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন। কেউ লিখেছেন, “ঢালিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী মিম।” কারো মন্তব্য, “বরাবরই সাহসী আপনি।”

২০০৭ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন বিদ্যা সিনহা মিম। হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল চলচ্চিত্রে’ অভিনয় করে দর্শকদের নজরে আসেন। এরপর টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই নায়িকা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মুনাফার লোভে টাকা দিয়ে মূলধন নিয়ে টানাটানি

রোকেয়া বেগম প্রতি লাখে মাসে ২ হাজার টাকা মুনাফার খবর শুনে তেলিয়াপাড়া নিশান পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটিতে ১০  লাখ টাকা জমা করেছিলেন। টাকা জমা রাখার প্রমাণ হিসেবে এনজিওটি তাঁকে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দলিল সম্পাদন করে দেয়। চুক্তিনামা অনুযায়ী মাসে মাসে মুনাফা পেতেন রোকেয়া।

ভালো মুনাফার খবর শুনে রোকেয়ার মতো ছোট-বড় তিন হাজার বিভিন্ন পেশার মানুষ ওই এনজিওতে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার আমানত রাখেন। গত কয়েক মাস ধরে এনজিওটি আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছে। এর মধ্যে কয়েকজন পরিচালক পালিয়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। 

কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এনজিওটির সব কার্যক্রম ঠিকমতোই চলছিল। গত ডিসেম্বর মাস থেকে হঠাৎ বিপত্তি দেখা দেয়। হঠাৎ করে এনজিওটিতে অর্থ সংকট দেখা দেয়। খবর চাউর হলে হাজারো গ্রাহক টাকা ফেরত পেতে নিশান পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটির প্রধান কার্যালয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। তখন উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে বৈঠকে ওই এনজিওর পরিচালকরা আমানতকারীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, এপ্রিল মাস থেকে লভ্যাংশ ও জুলাই মাস থেকে গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু এর মধ্যে ওই এনজিওর তিনজন পরিচালক এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে এনজিওটির চেয়ারম্যান বেলাল মিয়া অফিসে আছেন। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। এতে  টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে ভরসা পাচ্ছেন না আমানতকারীরা। 

নিশান পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটির পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, সারাদেশে তাদের ২৮ শাখা ছিল। প্রায় দেড় লাখ সদস্য ছিলেন। কয়েক কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু গত ডিসেম্বর মাস থেকে গোলযোগের কারণে সবগুলো শাখা সমিতি বন্ধ হয়ে গেছে। সমিতির সদস্যরা কয়েক কোটি টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় নিশানের বাগান, জমি, বহুতলবিশিষ্ট ভবনসহ অনেক সম্পদ রয়েছে। ইচ্ছে ছিল সম্পদ বিক্রি করে ধীরে ধীরে মানুষের টাকা ফেরত দেব। কিন্তু আমানতকারীদের বিশৃঙ্খলার কারণে এখন সহায়-সম্পদ বিক্রি করা যাচ্ছে না। তবু আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষের টাকা ফেরত দেওয়ার। টাকার পরিবর্তে নিশানের সম্পদ কেউ কেউ নিজেদের দখলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ভুক্তভোগী জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে এনজিওটি মানুষের কাছ থেকে টাকা জমা নিয়েছে। বিনিময়ে প্রতি মাসে মুনাফা দিয়ে আসছে। এই প্রলোভনে পড়ে ধনী-গরিব সবাই সেখানে টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু বেশি মুনাফার লোভে সেখানে টাকা জমা রেখে তারা নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছেন। 

নুরুল ইসলাম নামে এক আমানতকারী জানান, জমি বিক্রি করে মুনাফার আশায় নিশান এনজিওতে তিনি টাকা জমা করেছিলেন। এখন তাঁর মতো শত শত লোক নিজেদের অর্থ ফিরে পেতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। যতই দিন যাচ্ছে গ্রাহকরা টাকা জমা করে হতাশায় ভুগছেন। অনেক গরিব মানুষ জমি ও সহায়-সম্পদ বিক্রি টাকা জমা করেছিলেন। সবাই এখন দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। 

এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাশেম বলেন, আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে নিশান পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটিকে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এর পরও তারা টাকা ফেরত না দিলে আমানতকারীরা ওই এনজিওর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ