শান্তিগঞ্জে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
Published: 16th, February 2025 GMT
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে জমিতে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আস্তমা ও কামরূপদলং গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেলে আস্তমা গ্রামের কৃষক বজলু মিয়ার গরু কামরূপদলং গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়ার জমির ধান খায়। এ নিয়ে সেখানে ওই দুই কৃষকের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও মারামারি হয়। পরে এ নিয়ে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে আজ সকালে গ্রামের পশ্চিম বন্দে দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আস্তমা গ্রামের আঙ্গুর মিয়া বলেন, গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁদের গ্রামের বজলু মিয়া ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন জমির মালিক কামরূপদলং গ্রামের সুরুজ মিয়া। এতে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় কামরূপদলং গ্রামের নুরুল ইসলামসহ কয়েকজন এসেছিলেন বিষয়টি সালিস মীমাংসার জন্য। গ্রামের পক্ষ থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আজ সকালে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ হয়।
কামরূপদলং গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল বিকেলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। আমরা চেয়েছিলাম বিষয়টি সালিসের মাধ্যমে শেষ করতে। কিন্তু আস্তমা গ্রামবাসী বিচার মানেননি। আজ সকালে তাঁরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে আমাদের গ্রামের দিকে এগিয়ে আসে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।’
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আক্তার হোসেন ও দুলাল মিয়াকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া বাতির আলী, সুন্দর আলী ও সুজন মিয়াকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো আটক নেই। যদি কোনো পক্ষ মামলা করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ন দ র কর স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
সকালেই পড়ুন আলোচিত ৫ খবর
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া