সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে তাবলিগ জামাত আয়োজিত এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা। মোনাজাতের সময় ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দান। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হাজারো মুসল্লি।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৮ মিনিটে দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়। এর আগে, ১২টা ৩৮ মিনিটে মোনাজাত শুরু করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।

এর আগে ফজরের পরের বয়ান করেন মাওলানা মোরসালিন (দিল্লি নিজামউদ্দিন)। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুফতি আজিম উদ্দিন। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় হেদায়েতের বয়ান শুরু হয়। হেদায়াতি বয়ান করেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।

প্রসঙ্গত, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এখন পর্যন্ত তিনজন মুসল্লির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার (সাদ পন্থি) দ্বিতীয় পর্ব। এর আগে একই ময়দানে ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া জোবায়ের পন্থিদের প্রথম পর্বের দুই ধাপের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয় ৫ ফেব্রুয়ারি।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ব শ ব ইজত ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের প্রধান ওয়াসিফুলসহ ২৩ জনের আপিলে জামিন বহাল

ঢাকার উপকণ্ঠ টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে তাবলীগ জামাতের দুপক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের প্রধান মুরুব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জনকে হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৩ সদস্যের বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেন।

গত ৮ জানুয়ারি তাবলীগ জামাতের দু’পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের প্রধান মুরুব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জনকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়া পর্যন্ত তাদের এই জামিন দেওয়া হয়। পরে এর বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত ওসমান গণির ছেলে আমিনুল ইসলাম (৬৫), ফরিদপুর সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মৃত শেখ সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০) এবং বগুড়া সদর উপজেলার ধাওয়াপাড়া গ্রামের ওমর উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম নিহত হন। এ ছাড়া ওই সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত অর্ধশতাধিক মুসল্লি আহত হয়।

পরে এ ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর টঙ্গী পশ্চিম থানায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়। এরপর সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ আসামিরা হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ