Samakal:
2025-04-18@23:23:13 GMT

আসলে কেউ সুখী নয়...

Published: 16th, February 2025 GMT

আসলে কেউ সুখী নয়...

তাঁর মতো না পাওয়ার ঈর্ষা, না কি তাঁর মতো না দেওয়ার বঞ্চনা? ব্যাপারটি যেভাবেই দেখা হোক না কেন, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র কিন্তু এই মুহূর্তে ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ। তার কারণ, ক্লাবের হয়ে ভালো খেলার পরও তাঁর বেতন এমবাপ্পের চেয়ে কম। ভিনি যখন এমবাপ্পের অ্যাকাউন্টের দিকে চোখ রেখেছেন, তেমনি ভিনির দিকে তাকিয়ে আছেন আরেক তারকা জুড বেলিংহাম। তাঁর এজেন্টও জানিয়ে দিয়েছেন, সবার চেয়ে বেশি বেতন হওয়া উচিত বেলিংহামের। 

এই যখন অবস্থা, তখন মাঠে তাদের গোল উদযাপনের সময় একফ্রেমে হাসিমুখে দেখা গেলেও আসলে কেউ সুখী নয়। তারকায় ঠাসা রিয়াল মাদ্রিদকে আবার নতুন করে দর কষাকষিতে নামতে হতে পারে। তবে স্প্যানিশ মিডিয়াগুলোর ইঙ্গিত রিয়াল মাদ্রিদের প্রসিডেন্ট ফ্লোরেন্তো পেরেজের ঘাড়ে বন্দুক রেখে অতীতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও ফায়দা তুলতে পারেননি, সেখানে ভিনি কিংবা বেলিংহাম তেমন কিছু করতে পারবেন না।

আসলে ভিনির সামনে সৌদি প্রো লিগ থেকে ১০০ কোটি ইউরোর প্রাথমিক প্রস্তাব আসার পর থেকেই রিয়ালে বেতন বাড়ানোর জন্য চাপ দেওয়া শুরু। স্প্যানিশ দৈনিক মুন্ডো ডিপোর্তিভোর খবর, নতুন করে চুক্তি নবায়নের জন্য রিয়ালকে চাপ দিচ্ছেন ভিনি। তিনি চাইছেন, নতুন চুক্তিতে তাঁর বেতন যেন এমবাপ্পের চেয়ে বেশি হয়। এই মুহূর্তে মৌসুমে প্রায় ১ দশমিক ৫ কোটি ইউরো পেয়ে থাকেন এমবাপ্পে। সেখানে ভিনির বেতন ১ কোটির মতো। কিন্তু মূল বেতনের সঙ্গে এমবাপ্পে চুক্তি স্বাক্ষরের বোনাস হিসেবে বাড়তি ৮০ লাখ ইউরো পেয়ে থাকেন। এ কারণে সব মিলিয়ে এমবাপ্পে যেখানে ২ কোটি ৩০ লাখ ইউরো পাচ্ছেন, সেখানে ভিনির আয় সেই দেড় কোটি। 

ভিনির এজেন্টের দাবি, এই মৌসুমে তাঁর খেলোয়াড় সবচেয়ে ভালো করছেন। মৌসুমে তিনি রিয়ালের হয়ে মোট ১৭টি গোল করেছেন। এমবাপ্পেও কিন্তু কম যাচ্ছেন না। ২৫টি গোল করে এই তালিকায় ভিনিকে বরং তিনি ছাপিয়ে গেছেন। মাদ্রিদভিত্তিক স্প্যানিশ ট্যাবলয়েড এএসের খবর, ভিনির নড়েচড়ে বসার পর রিয়াল কর্তৃপক্ষ নাকি তাঁকে বাড়তি আরও ১ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছে। এই চুক্তির ব্যাপারটি এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। সেটি এলে নাকি বেঁকে বসবেন বেলিংহাম এবং তার পর একে একে রদ্রিগো, ভালবার্দেরাও বেতন বাড়ানোর দাবি তুলতে পারেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আহার্য

মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)

আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।

গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)

আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ