উন্নয়নকাজে অনিয়মের অভিযোগে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে দুদকের অভিযান
Published: 16th, February 2025 GMT
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে সড়ক উন্নয়ন, ড্রেনেজ নেটওয়ার্কসহ নাগরিক সেবা উন্নতকরণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুদকের প্রতিনিধিদল সিটি করপোরেশনে অভিযান শুরু করে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২১ মার্চ আলী আহাম্মদ নামের সি কে ঘোষ রোড এলাকার একজন বাসিন্দা দুদকের ময়মনসিংহ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, উন্নয়নের প্রকল্পের কাজ যতটুকু হয়েছে, তার চেয়ে বেশি দেখিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুদকের ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া বলেন, সড়ক ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক উন্নয়নকাজে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকার মানুষের চাহিদা বিবেচনায় সরকার ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। ১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সড়ক উন্নয়ন ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্কসহ নাগরিক সেবা উন্নতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে এক বছর বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় ধরা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
অধস্তন আদালত তদারকি কমিটি পুনর্গঠন
আট বিভাগে অধস্তন আদালত তদারকির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের ১৩ বিচারপতির নেতৃত্বে এ-সংক্রান্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের অনুমোদনের পর সম্প্রতি এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে আট বিভাগের জন্য ১৩টি ‘মনিটরিং কমিটি ফর সাবর্ডিনেট কোর্টস’ গঠন করে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে উল্লিখিত জেলাগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাচিবিক সহায়তার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় ১৩ কর্মকর্তাকে।
তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী-২ বিভাগে (বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি, বরিশাল বিভাগে (বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা) বিচারপতি জে বি এম হাসান, ঢাকা-১ বিভাগে (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী ও টাঙ্গাইল) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী, খুলনা-১ বিভাগে (খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর ও নড়াইল) বিচারপতি মাহমুদুল হক, খুলনা-২ বিভাগে (কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা) বিচারপতি মো. জাফর আহমেদ, ময়মনসিংহ বিভাগে (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা) বিচারপতি রাজিক আল জলিল, ঢাকা-২ বিভাগে (কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর) বিচারপতি ফাতেমা নজীবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম-১ বিভাগে (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, রংপুর-১ বিভাগে (রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার, চট্টগ্রাম-২ বিভাগে (নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর) বিচারপতি আহমেদ সোহেল, রাজশাহী-১ বিভাগে (রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর) বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর, রংপুর-২ বিভাগে (দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী) বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম এবং সিলেট বিভাগে (সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ) বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ৮ বিভাগ তদারকির জন্য ৮ বিচারপতিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি। পরে সেটি বাড়িয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১৩ জনকে দায়িত্ব দেওয়া দেওয়া হয়। এবার সেসব কমিটি পুনর্গঠন করা হলো।