মোহাম্মদ আমির ও বাবর আজমের সম্পর্কটা কেমন? ভালো নাকি খারাপ? তাঁরাই হয়তো এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। তবে সম্পর্কটি যে অননুমেয়, দূর থেকে সেটি আন্দাজ করা যায়।

মাঝেমধ্যেই মনে হয় বাবরের সবচেয়ে বড় সমালোচক আমির। আবার তাঁকে বাবরের গুণগ্রাহীও মনে হয়। এবার যেমন ছন্দহীন বাবরের পাশে দাঁড়িয়েছেন আমির। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাবর যে ভালো করবেনই, সে বিষয়ে ভক্তদের নিশ্চিত থাকতে বলেছেন। শুধু বলেনইনি, দৃঢ় বিশ্বাস আছে বোঝাতে গিয়ে ‘আমার কথা লিখে রাখুন’ও বলেছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলো বাবরের ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে ওয়ানডেতে। সেঞ্চুরি নেই ২১ ইনিংস হয়ে গেছে। এ সময়ে তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৭৪ রানের। সদ্য সমাপ্তি ত্রিদেশীয় সিরিজের তিন ম্যাচেই ভালো কিছুর ইঙ্গিতে ইনিংস শুরু করেছেন, কিন্তু বড় করতে পারেননি। আউট হয়েছেন যথাক্রমে ১০, ২৩ ও ২৯ রানে। তবে এর মধ্যেও ওয়ানডেতে দ্রুততম ৬ হাজার রেকর্ডে হাশিম আমলাকে স্পর্শ করেছেন।

১৯বাবর আজমের ওয়ানডে সেঞ্চুরি

বাবরের অভিষেকের পর ওয়ানডেতে বাবরের চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করেছেন শুধু বিরাট কোহলি (২৮) ও রোহিত শর্মা (২৫)। এ সংস্করণে তাঁর গড় এখনো ৫৫.

৭৩। যার অর্থ, ওয়ানডেতে বাবরের পারফরম্যান্স ভালো, সামনেও সম্ভাবনা যথেষ্ট। আমিরও ওয়ানডের বাবরের ওপর ভরসা রাখতে বলেছেন।

আরও পড়ুন‘বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল নয়’—বললেন ডি ভিলিয়ার্স৫ ঘণ্টা আগে

ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তান দল ও বাবর ভালো খেলবে বলে বিশ্বাস আমিরের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই বাঁহাতি পেসার লিখেছেন এভাবে, ‘উদ্বিগ্ন হবেন না। পাকিস্তান ও বাবর আজম চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পারফর্ম করবে। ইনশা আল্লাহ। আমার কথা লিখে রাখুন।’

সম্প্রতি ওয়ানডেতে নতুন পজিশনে ব্যাটিং করছেন বাবর। চোটের কারণে সাইম আইয়ুব না থাকায় এ সংস্করণে ওপেনিং করছেন সাবেক এই অধিনায়ক। এখন পর্যন্ত পাঁচবার ওপেনিংয়ে নেমে বাবর করেছেন ৮৮ রান। নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে আয়োজিত সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজেও একই পজিশনে রান পাননি। আমিরের মতে, বাবরের ৩ নম্বরেই ব্যাটিং করা উচিত।

আরও পড়ুনএবার যুক্তরাষ্ট্রেও দল হারালেন সাকিব৩ ঘণ্টা আগে

পরশু পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও সুপারে এই পেসার বলেছেন, ‘বাবরের শক্তির জায়গা ৩ নম্বর, ও জানে এ জায়গায় কীভাবে ইনিংসটা গড়তে হয়। টি-টোয়েন্টি ওপেনারের সঙ্গে ওয়ানডে ও টেস্ট ওপেনারের ভূমিকার পার্থক্য আছে। এখানে প্রতিটি অধ্যায় নিয়ে আলাদা কাজ করতে হয়। প্রথম ১০ ওভারে আমাকে সুযোগ নিতে হবে। পরের ১০ ওভারে জুটি গড়তে হবে। ভূমিকা ভিন্ন। বাবর বড় খেলোয়াড়। কিন্তু আমার মনে হয় ওর ৩ নম্বরে ব্যাটিং করা উচিত।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন বল ছ ন ব বর র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদ এবং উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এ সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াশিরুল কবীর, গোলাম রাব্বানী, তানভীর মন্ডলসহসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

কুয়েটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি ইবি ছাত্র ইউনিয়নের

ইবিতে এক কার্ডেই মিলবে সব সেবা

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর অন্যায়ভাবে কুয়েট প্রশাসন প্রহসন চালাচ্ছে। ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা কুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। অনতিবিলম্বে কুয়েট প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এ দেশের ছাত্রসমাজ আবারো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। 

সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, ছাত্র রাজনীতি মুক্ত একটি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্র রাজনীতিকে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা এবং সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো শিক্ষার্থীদের উপর যেভাবে বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে তা চরম অদক্ষতার পরিচয় দেয়।”

তিনি বলেন, “ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই এ ধরণের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ প্রশাসনকে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সবসময় কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পাশে আছি।”

সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কুয়েট উপাচার্যের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের। কিন্তু তিনি একটি দল বা গোষ্ঠীকে সবসময় সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। কুয়েট উপাচার্য সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তার চেয়ারে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “যিনি ছাত্রদের অধিকার সংরক্ষণ করতে পারেন না, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থাকতে পারেন না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনতিবিলম্বে কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সোমবার (১৪ এপ্রিল) ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে আগামী ২ মে আবাসিক হলগুলো  খোলা ও ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ