প্রায় ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমা এলাকায় তেলবাহী ওয়াগন ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সিলেট রেলও‌য়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের ওয়াগনটি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকের মোগলবাজার রেলগেট এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে ওই রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি; বন্ধ হয়ে যায় সারা দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন যেতে পারেনি। সেটির যাত্রা বাতিল করা হয়। যাত্রীদের টিকেটের মূল্য ফেরত দেওয়া হয়।

এদিকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আজ সকালে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট স্টেশনে এসে পৌঁছায়।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, ট্রেন চলাচল এখন স্বাভাবিক। তবে আজ সারা দিন শিডিউল বিপর্যয় অব্যাহত থাকতে পারে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইনের মেরামতকাজ চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজার সৈকতে গোসল করে ওঠার পর অসুস্থ পর্যটকের মৃত্যু

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী পয়েন্টে আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল সেরে আসার পর অসুস্থ হয়ে এক পর্যটক মারা গেছেন। অসুস্থ ওই পর্যটককে লাইফগার্ড কর্মীরা উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পর্যটকের নাম ফেরদৌস খান (৪০)। তিনি ঢাকার দক্ষিণ কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে বেসরকারি লাইফগার্ড প্রতিষ্ঠান সি সেফ-এর সুপারভাইজার সিফাত সাইফুল্লাহ জানান, বিকেল চারটার দিকে পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে ফেরদৌস খান সমুদ্রের পানিতে গোসলে নামেন। গোসল সেরে পাঁচজন নিরাপদে পানি থেকে বালুচরে উঠে এসে কিটকট (সৈকতের আরাম চেয়ার) চেয়ারে বসেন। এ সময় হঠাৎ ফেরদৌস খান অসুস্থ হয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন। বন্ধুদের সহযোগিতায় লাইফগার্ড কর্মীরা ফেরদৌস খানকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান।

সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, অসুস্থতার কারণে ফেরদৌস খানের মৃত্যু হয়েছে। সমুদ্রের পানিতে গোসল সেরে বালুচরের কিটকটে বসে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাতে আপেল মাহমুদ বলেন, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ফেরদৌস খানের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ