নয় ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ শুরু
Published: 16th, February 2025 GMT
প্রায় ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমা এলাকায় তেলবাহী ওয়াগন ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের ওয়াগনটি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকের মোগলবাজার রেলগেট এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে ওই রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি; বন্ধ হয়ে যায় সারা দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন যেতে পারেনি। সেটির যাত্রা বাতিল করা হয়। যাত্রীদের টিকেটের মূল্য ফেরত দেওয়া হয়।
এদিকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আজ সকালে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট স্টেশনে এসে পৌঁছায়।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম বলেন, ট্রেন চলাচল এখন স্বাভাবিক। তবে আজ সারা দিন শিডিউল বিপর্যয় অব্যাহত থাকতে পারে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইনের মেরামতকাজ চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজের পরদিন শিশুর মুখ ঝলসানো লাশ উদ্ধার
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে নিখোঁজের এক দিন পর ৭ বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির মুখ ঝলসানো ছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের এক ভুট্টাখেত থেকে পুলিশ বিবস্ত্র লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে ধর্ষণ করে পরিচয় গোপন রাখার জন্য তার মুখাবয়ব অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত। তার বাবা প্রবাসী।
বড়াইগ্রাম থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটি সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। সারা রাত খোঁজার পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে দিনমজুরেরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে বাড়ির থেকে ৩০০ গজ দূরের একটি ভুট্টাখেতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটির লাশ যেখানে পাওয়া গেছে, সেটা পাবনার চাটমোহর উপজেলার মধ্যে। তাই আইন অনুসারে এ বিষয়ে মামলা চাটমোহর থানায় হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ইতিমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশ মাঠে নেমেছে। হত্যার কারণ বা শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।