শিশুর জ্বরের সঙ্গে র্যাশ হলে করণীয়
Published: 16th, February 2025 GMT
শিশুদের প্রায়ই জ্বরের সঙ্গে ত্বকে দানা দানা বা র্যাশ দেখা দেয়। নানা কারণে এটি হতে পারে। অনেক সময় এ র্যাশের ধরন দেখেই নির্ধারণ করা যায় রোগটা কী। আসুন জেনে নিই পরিচিত কিছু রোগের কথা, যেখানে জ্বর ও র্যাশ হয়।
হাম
শিশুদের হাম বা মিজলস হলে শরীরে ছোট লালচে দানা দেখা দেয়। প্রথমে কানের পেছনে বা মুখে শুরু হয় এ র্যাশ। এরপর সারা গায়ে ছড়ায়। হাম ভাইরাসজনিত রোগ এবং এটি সংক্রামক। অন্য সব ভাইরাস জ্বরের মতো দুই সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়।
জলবসন্ত
জলবসন্ত বা চিকেন পক্সে যে র্যাশ ওঠে, তা হামের মতো লাল দানা নয়; বরং ক্ষুদ্র ফুসকুড়ির মতো। এই র্যাশ প্রথমে মুখ, বুক ও পিঠজুড়ে হয়। তবে সারা শরীরেই হতে পারে। ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয় বলে এরও তেমন চিকিৎসা নেই। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল এবং চুলকানির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন দিলেই চলে। সাধারণত দুই সপ্তাহের মধ্যে শিশু সেরে ওঠে।
রুবেলা
রুবেলা অনেকটা হামের মতোই। তাই এর আরেক নাম জার্মান মিজলস। এতে হামের মতোই লালচে বা গোলাপি ছোট দানা ওঠে; সঙ্গে জ্বর, সর্দি-কাশি থাকে। অন্যান্য ভাইরাস সংক্রমণের মতো এটিও নিজে নিজেই সেরে যায়।
হ্যান্ড, ফুট ও মাউথ ডিজিজ
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে স্কুলগামী শিশুদের এর সংক্রমণ বেশ হচ্ছে। এতে জ্বরের সঙ্গে মুখের চারপাশ, হাত ও পায়ের তালুতে র্যাশ ওঠে। এটিও দুই সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।
ডেঙ্গু
দেশে এখন ডেঙ্গু প্রায় সারা বছরই হয়। তবে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত পিক মৌসুম। ডেঙ্গুতে সাধারণত জ্বরের দুই বা তিন দিনে গায়ে ছোট লাল দানা ওঠে। বুকে-পিঠে বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গুর র্যাশ বেশি দিন থাকে না।
কী করবেন
চিকিৎসক র্যাশের ধরন দেখে কোন ভাইরাস দায়ী, তা অনেক সময় শনাক্ত করতে পারেন।
বেশির ভাগ ভাইরাসজনিত জ্বর ও র্যাশে তেমন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। জ্বরে প্যারাসিটামল, চুলকানিতে অ্যান্টিহিস্টামিন বা মলম এবং বিশ্রাম ও প্রচুর পানি পান করাতে হবে।
নখ দিয়ে চুলকানো ঠিক নয়।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। শিশুকে আলাদা রাখতে হবে।
যেহেতু এসব রোগ সংক্রামক, তাই পুরোপুরি না সারা পর্যন্ত শিশুদের স্কুলে পাঠানো যাবে না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ বর র
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’
ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’
ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী