ফরিদপুরে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ
Published: 16th, February 2025 GMT
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সুজন (২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়।
সুজন উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা। এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি সুজনকে কুকুরের মাংস কাটতে দেখেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, এর আগেও সুজন কুকুরের মাংস বিক্রি করেছেন।
পোল্ট্রি ব্যবসায়ী লাভলু মিয়া বলেন, ‘‘সুজন মাদকাসক্ত। এছাড়া, তিনি চুরি ও অন্যান্য অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। সুজন এলাকার কুকুরগুলোকে সবসময় মুরগির নাড়িভুঁড়ি খেতে দিত। তবে, গত কয়েক দিন ধরে একটি কুকুরের খোঁজ মিলছে না।’’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাসার বলেন, ‘‘সম্প্রতি সুজনকে হেলেঞ্চা বাজারে কুকুরের মাংস কাটতে দেখেছেন অনেকে। এ সময় তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হলেও পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কুকুরের পা, মাথা ও মাংস পাওয়া গেছে।’’
বুড়াইচ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু বলেন, ‘‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সুজন পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। তবে, তার কার্যকলাপ বন্ধ হয়নি।’’
এ বিষয়ে জানতে সুজনের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/তামিম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন নিষিদ্ধ
সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) এর মধ্যে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় সুন্দরবনের পরিবেশগত সুরক্ষায় ২০১৭ সালের জাতীয় পরিবেশ কমিটির ৩.৪.৪ নম্বর সিদ্ধান্ত এবং ২০২১ সালের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার ইসিএ এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করা হবে। আদালতের আদেশ থাকার কারণে প্রভাব নিরূপণের পর স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
এছাড়াও, সভায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট বিধিমালা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশোধনের পর সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও এনজিওগুলো যৌথভাবে প্রকল্প প্রস্তাব দিতে পারবে। শব্দদূষণ রোধে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে সকল মন্ত্রণালয় থেকে মতামত নেওয়া হবে।
সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হবে। বন অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা চালু ও বৃদ্ধির প্রস্তাবও পাঠানো হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ভবন নির্মাণে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ ব্লক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে মে মাসে সচিব পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক এবং কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সচিব ফারজানা মমতাজ; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান; স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম-সহ কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে গত সভার সিদ্ধান্ত ও সভার কার্যপত্র উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম।