লিবিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের ৬০ দিনের মধ্যে বৈধতা অর্জনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বৈধতা অর্জন না করলে তাদের বিরুদ্ধে লিবিয়ার প্রচলিত আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে।

লিবিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দূতাবাসের জরুরি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, লিবিয়া সরকারের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটির শ্রম ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় বিদেশি নাগরিকদের জন্য দুই মাসের মধ্যে বৈধতা (আকামা) অর্জনের সময়সীমা ঘোষণা করেছে। এই প্রক্রিয়ার আওতায় গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লিবিয়ার অফিসিয়াল বন্দর (পোর্ট) দিয়ে দেশে প্রবেশ করা সব বিদেশি শ্রমিককে তাদের বৈধতা অর্জন করতে হবে। তাই লিবিয়ায় অনিয়মিতভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বৈধতা অর্জন অত্যন্ত জরুরি।  

বৈধতা (আকামা) অর্জনের ধাপ:  

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন: সব বিদেশি শ্রমিককে অবশ্যই লিবিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের (https://wafed.

gov.ly/) মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে।  

কর্মচুক্তি সম্পাদন: বিদেশি শ্রমিকদের লিবিয়ার স্থানীয় নিয়োগকর্তার সঙ্গে একটি বৈধ কর্মচুক্তি সম্পাদন করতে হবে। এই চুক্তি ২০১০ সালের ১২ নম্বর শ্রম আইন এবং এর ধারা অনুযায়ী হতে হবে। চুক্তিটি লিবিয়ার শ্রম অধিদপ্তর বা স্থানীয় মিউনিসিপালিটির শ্রম অফিস থেকে অনুমোদিত হতে হবে।  

স্বাস্থ্য সনদপত্র সংগ্রহ: শ্রমিকদের লিবিয়ার জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র থেকে একটি স্বাস্থ্য সনদপত্র নিতে হবে। এই সনদ নিশ্চিত করবে যে শ্রমিক সব রোগ থেকে মুক্ত।  

সময়সীমা: ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে বিদেশি শ্রমিকদের তাদের বৈধতা (আকামা) অর্জনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যারা বৈধতা অর্জনে ব্যর্থ হবেন, তাদের বিরুদ্ধে লিবিয়ার প্রচলিত আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

উপরোল্লিখিত ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে লিবিয়ায় বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্ণিত ধাপগুলো অনুসরণ করে বৈধতা (আকামা) অর্জন করার জন্য দূতাবাস হতে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। অন্যথায়, ভবিষ্যতে যত্রতত্র আটকসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে যেকোনো তথ্য, ব্যাখ্যা বা সহায়তার প্রয়োজনে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে এই নম্বরে: মোবাইল: +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭, +২১৮৯১৬৯৯৪২০২  ই-মেইল: [email protected]

ঢাকা/হাসান/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সময়স ম ন করত

এছাড়াও পড়ুন:

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা, যা শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে সময়সূচি প্রকাশের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বো রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

ব্যবহারিক বিষয় সম্বলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।

পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ এবং সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)

প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।

প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।

পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।

পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।

পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইলফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলফোন আনতে পারবে না।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এসএসসি পরীক্ষা-২০২৫, শিক্ষার্থীদের মানতে হবে যে ১৪ নির্দেশনা
  • এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর কোন পরীক্ষা কবে
  • এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন, এসএসসির সূচিতে পরিবর্তন
  • এসএসসি পরীক্ষা–২০২৫ নতুন রুটিন প্রকাশ
  • এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন
  • সাড়ে সাত মাসে রিটার্ন দিল মাত্র ১৩ হাজার কোম্পানি