Samakal:
2025-02-22@23:11:39 GMT

‘এবার ভারতকে হারাব’

Published: 16th, February 2025 GMT

‘এবার ভারতকে হারাব’

ফরচুন বরিশালে নাজমুল হোসেন শান্ত টিম কম্বিনেশনের কারণে পরের দিকে ম্যাচ না পেলেও রিজার্ভ বেঞ্চে বসেও রিশাদ হোসেনকে সাপোর্ট করে গেছেন। তিনি মনেপ্রাণে চেয়েছেন, রিশাদ ভালো করুক। জাতীয় দলের একমাত্র লেগি ভালো করেছেনও। ফাইনাল ম্যাচে ‘ফিনিশিং টাচ’ তাঁর ব্যাটেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে দুবাই যাওয়ার সন্ধ্যায় বিপিএল, জাতীয় দল, বোলিংয়ে উন্নতি ও ভেরিয়েশন নিয়ে বলা রিশাদ হোসেনের কথাগুলো শুনেছেন সেকান্দার আলী।

সমকাল: বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচের ‘আনসাং হিরো’ আপনি। শেষের দিকে দুটি ছয় না মারলে বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হয় না। ফাইনালের মতো ম্যাচে দলের প্রত্যাশা মেটাতে পেরে কতটা আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন?
রিশাদ:
যে কোনো জয় আত্মবিশ্বাস দেয়। ভালো করলে নিজের উপকারে আসে। ফাইনাল জেতার মধ্য দিয়ে আমিও একটা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে কী করতে হয়, নার্ভ কতটা শক্ত রাখতে হয়; তা বুঝতে পেরেছি। আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই আন্তর্জাতিকের জন্য প্র্যাকটিস করি। এবারের ফাইনালের অভিজ্ঞতা জাতীয় দলে কাজে লাগাতে চেষ্টা করব পরিস্থিতি তৈরি হলে।

সমকাল: আগের বিপিএলে আপনি অনিয়মিত ছিলেন। এবার বরিশালে নিয়মিত খেলেছেন। এই সুযোগ পাওয়া নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই।
রিশাদ:
আলহামদুলিল্লাহ, পুরো টুর্নামেন্ট ভালোই গেছে। আগেরবার অন-অফ ছিলাম। চারটি ম্যাচ খেলেছি। এবার মানসিকভাবে শক্ত ছিলাম। সুযোগ পেলে ভালো খেলার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ ফরচুন বরিশালের টিম ম্যানেজমেন্টকে। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ভাইয়ের কাছে কৃতজ্ঞ আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য।

সমকাল: সিনিয়র ক্রিকেটারদের সহযোগিতা কেমন ছিল?
রিশাদ:
সিনিয়র খেলোয়াড়রা অনেক হেল্প করেছেন। আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। আমিও বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ।

সমকাল: নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, আপনার কাছে আরও বেশি আশা করেন। আপনার কাছে জাতীয় দলের অধিনায়কের প্রত্যাশা আসলে কী?
রিশাদ:
আশা তো থাকবেই। তারা আশা করেন, আমি একা হাতে যেন ম্যাচ জেতাতে পারি। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং; তিন বিভাগে ভালো খেলি। তাদের প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।

সমকাল: দেশে লেগস্পিনার ছিল না। আপনি এখন লেগস্পিনারদের আইকন। ভাবতে কেমন লাগে?
রিশাদ:
এভাবে ভাবি না। আমার চেষ্টা থাকে ভালো খেলা। ধারাবাহিক উন্নতি করা। বোলিং ভেরিয়েশন নিয়ে কাজ করছি। দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং দিয়ে ভালো করতে পারলে, দলকে জেতাতে পারলেই খুশি।

সমকাল: মুশতাক আহমেদ কী শেখাচ্ছেন?
রিশাদ:
তাঁর সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা হয়। তাঁর কাছ থেকে যতটা পারা যায়, নেওয়ার চেষ্টা করছি। বড় দলের বিপক্ষে, বড় ইভেন্টে কীভাবে ভালো খেলা যায়, সেগুলো নিয়ে কথা বলছি। তাঁর অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, কীভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেন, সেগুলো শুনছি।

সমকাল: টেকনিক্যালি, না ট্যাকটিক্যাল বিষয় নিয়ে বেশি কথা হয়?
রিশাদ:
বেশির ভাগ মনস্তাত্ত্বিক দিক নিয়ে কথা বলি। অভিজ্ঞতা জানতে চাই। টেকনিক্যালি যা আছে, সেগুলো নিয়ে চলতে পারব। এখান থেকে মেন্টালি সাপোর্ট দিয়ে সেগুলো এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।

সমকাল: বোলিংয়ের কোন কোন বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করছেন?
রিশাদ:
কিছু ভেরিয়েশন নিয়ে কাজ করছি। এক-দুই মাসে সেগুলো কার্যকর হবে না। ধাপে ধাপে উন্নতি করে, নিখুঁত করা গেলে সফল হতে পারব। ভেরিয়েশন শেখা খুব সহজ। শেখার পর সেগুলোকে নিখুঁতভাবে কাজে লাগাতে পারা চ্যালেঞ্জিং। ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন স্কিল প্রয়োগ করতে হবে। এক-দু’বার সফল হলেই আত্মবিশ্বাস পাব। আশা করি, সেগুলো সামনে আপনারা দেখতে পাবেন।

সমকাল: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আপনাদের প্রত্যাশা কী?
রিশাদ:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আশা হলো চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমাদের এই একটাই বিশ্বাস।

সমকাল: দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু। বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা কেমন?
রিশাদ:
ইনশাআল্লাহ ভারতের বিপক্ষেই জিতব। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে প্রতিটি ম্যাচ জিততে হবে। সব ম্যাচ সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে হবে। ভারতের বিপক্ষে জয় পাব ইনশাআল্লাহ।

সমকাল: নিউজিল্যান্ড উপমহাদেশের বাইরের দল। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের বিপক্ষে জয়ের অভিজ্ঞতাও আছে। তাদের সঙ্গে কৌশলটা কী থাকবে?
রিশাদ:
আসলে কোনো কৌশল কাজে দেবে না নিজেরা ভালো করতে না পারলে। আমরা ভালো করতে চাই। নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলতে পারলে জিতব। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিকে নিজেদের করার চেষ্টা থাকবে। যেহেতু তাদের বিপক্ষে ভালো স্মৃতি আছে, সেটা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে সাহায্য করবে।

সমকাল: আপনার নিজের পরিকল্পনা?
রিশাদ:
সুযোগ পেলে সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো খেলার চেষ্টা করব। নার্ভ শক্ত রেখে খেলব।

সমকাল: পাকিস্তানকে হারাতে পারবেন?
রিশাদ:
আমরা ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান সবাইকে হারাব, ইনশাআল্লাহ।

সমকাল: টি২০ বিশ্বকাপে ভালো খেলেছেন। বৈশ্বিক ওয়ানডে টুর্নামেন্টে প্রথম খেলবেন। কোনো একসাইটমেন্ট?
রিশাদ:
সবাই সাপোর্ট দিচ্ছেন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে বলছেন। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই ভালো একটা বিশ্বাস আছে। এর বাইরে কোনো একসাইটমেন্ট নেই।

সমকাল: দলের পরিবেশ কেমন?
রিশাদ:
দলের পরিবেশ খুব ভালো। একটি মিশন সফল করার জন্য যে ধরনের মানসিকতা থাকতে হয়, সে রকম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ত য় দল পর ব শ র জন য ফ ইন ল বর শ ল সমক ল আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার ও নির্বাচন দুটোই হতে হবে

এখন কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়, সংস্কার চায় না। তাদের মনে রাখা উচিত, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল ক্ষমতার পালাবদলের জন্য হয়নি। এই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা হলো সংস্কার এবং নির্বাচন দুটিই হতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো কেবল ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে নিজেদের স্বার্থে রাজনীতি করেছে। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এ ধারার আমূল পরিবর্তন করতে হবে।

রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে গতকাল শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি’ শীর্ষক একটি অধিবেশনে এসব কথা বলেন বক্তারা। গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা এম হাসান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর কাজের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনার কোনো ব্যবস্থা নেই। এতে প্রধানমন্ত্রীর স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠার যথেষ্ট সুযোগ আছে। সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি নিশ্চিতের প্রবিধান সংযুক্ত করা হবে।

আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করে তোলার ওপর। বিগত সরকারের সময়ে দেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চরমভাবে দুর্বল করে ফেলা হয়, যা প্রধানমন্ত্রীকে কর্তৃত্ববাদী হওয়ার পথ প্রশস্ত করে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ধারার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য সংবিধানে বিশেষ অনুচ্ছেদ যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

আলী রীয়াজ আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থাকে কেউ কেউ ‘বিপ্লব’ বলেন। আদতে এটা বিপ্লব ছিল না। বিপ্লব হলে বিভিন্ন কমিশন গঠন করার দরকার হতো না। তিনি উল্লেখ করেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাব দিয়েছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করবে তারা কতটুকু গ্রহণ করবে। 

সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, অতীতের ক্ষমতার চর্চা ছিল অর্থের ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য। আদর্শের চর্চার প্রভাব খুব একটা ছিল না। জাতীয় সংসদের প্রধান থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পর্যন্ত সবাইকে এ ধারায় চলতে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ চলে গেলেও সেই টাকার প্রভাবের শূন্যতা পূরণ হয়ে যাচ্ছে। 
তিনি বলেন, দাবি আদায় করতে লোক জড়ো করা এবং সহিংসতা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজতে হবে।

অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, সবাই সংস্কার চান। তবে কী সংস্কার চান, তা সুস্পষ্ট করা উচিত। সংস্কার কেবল আইনের পরিবর্তনের মধ্যে আটকে থাকলে হবে না। আইন অনেক আছে। সমস্যা রাজনৈতিক চর্চার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অনেকগুলো সংস্কারের জন্য কাজ করছে। এরই মধ্যে অনেক সংস্কার প্রস্তাবও এসেছে। তবে সংস্কার প্রস্তাবের অনেকগুলো আইন পরিবর্তনের জন্য। সত্যিকার অর্থে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাইলে জনগণকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক চর্চার পরিবর্তনের জন্য অন্তর্বর্তী নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সরকার ব্যবস্থাকেও রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে ক্ষমতা ধরে রাখার চর্চাও দেখা গেছে। প্রতিবছর সম্পদের হিসাব প্রকাশ করবে– ‘দিন বদলের’ কথা বলে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। কীভাবে মানুষ এটা বিশ্বাস করবে, রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসছে, সেই প্রতিশ্রুতি রাখবে। 

সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, বিগত সরকারের সময়ও অনেক কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই কথা শোনার বা শুনে তা আমলে নিয়ে কাজ করা হয়নি। সংবিধান সংশোধনের কথা হচ্ছে। এটা করতে হলে তা কীভাবে যুগোপযোগী হয়, তা নিয়ে ভাবতে হবে।

৫৩ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হয়নি এবং এ কারণে নব্বই বা চব্বিশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে বলে মত দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গভীরে বৈষম্য রয়ে গেছে। মানুষ শান্তি চায়, ভয়ের পরিবেশে বাঁচতে চায় না। তারা চায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের কথা শোনা হোক। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে জবাবদিহি করার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে জনগণের মতকে প্রতিষ্ঠা করার পথে এগোনো সহজ হতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক ড. আসিফ শাহান বলেন, অর্গানাইজেশন এবং ইনস্টিটিউশনের মধ্যকার পার্থক্য করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে কঠোরভাবে। 

জাতীয় নাগরিক কমিটির সহআহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, অতীতের সরকার ব্যবস্থায় মানুষের কথা শোনার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে সুষ্ঠু নির্বাচনই ছিল মানুষের প্রধান আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের আকাঙ্ক্ষা কেবল নির্বাচনে আটকে নেই। অতীতের সরকার ব্যবস্থাগুলোতে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ মানুষের ভোট নিয়ে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়েছিল এবং তারা সংবিধান বদলের অধিকার পেয়ে ইচ্ছামতো পরিবর্তন করেছে। নতুন বাংলাদেশের মানুষ এর বদল চান। কেবল ক্ষমতার পালাবদল করে দিতে এ গণঅভ্যুত্থান হয়নি।

বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি বিষয়ে সারোয়ার তুষার বলেন, তারা হয়তো সংস্কার চায় না। তিনি উল্লেখ করেন, জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এখন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নামে আছে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা। এর বদল করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, নিজেদের পক্ষে কথা বলার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থায় প্রতিনিধি পাঠানোর পর যদি জনগণ দেখেন তাদের পক্ষে ওই প্রতিনিধি কথা বলছেন না, তাহলে তাকে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকা উচিত। রাজনৈতিকগুলো গণতন্ত্রের কথা বললেও নিজেরা গণতন্ত্রের চর্চা করে না। মুখে জনগণই সব ক্ষমতা উৎস– এমনটা বললেও সংসদে নিজ দলের বিরুদ্ধেই কথা বলতে পারে না। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ