ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের পরানো ‘অপমানজনক’ টি–শার্ট পোড়ালেন মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা
Published: 16th, February 2025 GMT
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গতকাল শনিবার তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বিনিময়ে ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আগে তাঁদের ‘বিশেষ টি–শার্ট’ পরিয়েছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। নিজ ভূমিতে ফিরে এই ‘অপমানজনক’ টি–শার্ট পুড়িয়ে ফেলেছেন ফিলিস্তিনিরা।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের পরানো টি–শার্টে ‘স্টার অব ডেভিড’ শীর্ষক লোগো ছিল। ঈশ্বর, ইসরায়েল ও তাওরাতের মধ্যে সংযোগ বোঝাতে এই চিহ্ন ব্যবহার করেন ইসরায়েলিরা। ইসরায়েলের জাতীয় পতাকার মাঝখানে এই চিহ্ন আছে।
গতকাল মুক্তি দেওয়া ফিলিস্তিনিদের পরানো টি–শার্টে আরবি হরফে লেখা ছিল, ‘আমরা ভুলব না বা ক্ষমা করব না’।
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের জোর করে এই টি–শার্ট পরানো হয়েছিল। বিষয়টি তাঁদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। তাঁরা অপমানিত বোধ করেন। এ ঘটনাকে ফিলিস্তিনিরা ‘বর্ণবাদী অপরাধ’ বলছেন।
কয়েক দিনের উত্তেজনাপূর্ণ আলাপ-আলোচনার পর যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে বন্দী-জিম্মি বিনিময় হয়।
ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়ার আগে এই টি–শার্ট পরানো হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ময়মনসিংহ থেকে এক তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত জেলার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মেহেদি হাসান ওরফে সবুজ (২৪), তাঁর ভাই সাকিব হোসেন (২০) ও মো. গোলাম রসুল ওরফে রাকিব (২১)। তাঁদের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামে।
সাতক্ষীরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়। পেশায় তিনি একজন মডেল ও পারলারের রূপবিশেষজ্ঞ। কয়েক দিন আগে ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামের গোলাম রসুলের পরিচয় হয়। কয়েক মাস কোনো কাজ না থাকায় তিনি বাড়িতে বেকার বসে ছিলেন। গোলাম রসুলের সঙ্গে পরিচয়ের একপর্যায়ে তিনি ভারতে কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান। পরে তাঁর কথায় ২২ মার্চ তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে মেহেদি হাসান ও গোলাম রসুল তাঁকে নিয়ে মেহেদির বাড়িতে নিয়ে রাখেন।
ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করেন, রোববার গ্রেপ্তার মেহেদির বাড়ি থেকে তাঁকে কদমতলা গ্রামের আমিনুল ইসলাম নামের একজনের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে অচেতন করার পর একে একে কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরদিন সোমবার তাঁকে শ্যামনগর উপজেলার কুলতলী গ্রামে একজনের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। মঙ্গলবার আবার তাঁকে কয়েকজন ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁকে আবার মেহেদির বাড়িতে আনা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর কাছে থাকা মুঠোফোন দিয়ে ৯৯৯ নম্বর কল করলে দুপুরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
সাতক্ষীরার ওই হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা সোমা রানী দাস বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি অসুস্থ থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল রশিদ মোল্যা বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় মামলা করেছেন। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। ওই তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।