ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ওমানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ভারতের গণমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রবিবার মাস্কাটে অনুষ্ঠিত ৮ম ভারত মহাসাগর সম্মেলনের সাইডলাইনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ওমান সরকার যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে, যার তত্ত্বাবধানে রয়েছে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। এবারের সম্মেলনে অন্তত ২৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণ করছেন।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে, গত ডিসেম্বর মাসে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকা সফর করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেটাই ছিল বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটে ওমানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠককে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট র পরর ষ ট রমন ত র দ শ র পরর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

সন্‌জীদা খাতুনের এক জীবন

জন্ম: ৪ এপ্রিল ১৯৩৩।
পরিবার: বাবা জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন, মা সাজেদা খাতুন।
পারিবারিক নাম: বাবা কাজী মোতাহার হোসেন সন্‌জীদা খাতুনকে ছোটবেলায় আদর করে তোনালি (সোনালি) বলে ডাকতেন।
গানের গুরু: প্রথম গানের গুরু ছিলেন সোহরাব হোসেন। রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন হুসনে বানু খানমের কাছে। এরপর তিনি শৈলজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেনদের মতো বিখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পীদের কাছে তালিম নেন।
প্রথমবার মঞ্চে: ঘরোয়া আসরের বাইরে প্রথমবার মঞ্চে গান করেছেন নারায়ণগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে। গানটি লিখেছিলেন পল্লিগীতির শিল্পী হাসান আলী খাঁ।
পড়াশোনা: কামরুন্নেসা স্কুল, ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

পেশা: অধ্যাপনা। ইডেন কলেজ, কারমাইকেল কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা শেষে অবসরে যান।
আন্দোলন: শৈশবে শিল্পী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে যোগ দিয়েছিলেন ব্রতচারী আন্দোলনে। কাজ করেছেন মুকুল ফৌজেও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই ছিলেন সক্রিয়।
ছায়ানট প্রতিষ্ঠা: ১৯৬১ সালে পাকিস্তানি শাসকদের বাধা উপেক্ষা করে রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন এবং তার সূত্র ধরে পরে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট গঠনে অনেকের সঙ্গে সন্‌জীদা খাতুন ছিলেন নেতৃস্থানে।

সহশিল্পীদের সঙ্গে রমনার বটমূলে গাইছেন সন্‌জীদা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ