গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ তীরে মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হচ্ছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা। রোববার দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।

বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সকাল সাড়ে ৯টায় মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ সাহেব হেদায়েতের বয়ান শুরু করেন, যার বাংলা তরজমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। হেদায়েতের বয়ান শেষে শুরু হবে আখেরি মোনাজাত।

এদিন আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা নামাজ, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজকার ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে শনিবার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত করেছেন।

এ পর্বের আখেরি মোনাজাত আরবি ও উর্দু ভাষায় পরিচালিত হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল বাদ ফজর তাবলিগের ছয় উসুলের ওপর বয়ান করেন মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ, যার তরজমা করেন মাওলানা ওসামা ইসলাম। এছাড়া দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আলোচক বয়ান পেশ করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করা হয়।

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ৫০টিরও বেশি দেশের প্রায় ১,৭০০ বিদেশি মেহমান উপস্থিত হয়েছেন। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, আলজেরিয়া, বাহরাইন, কম্বোডিয়া, কানাডা, চীন, ফিজি, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সুদান, থাইল্যান্ড ও তিউনিশিয়া থেকেও সাদ অনুসারীদের আসতে দেখা যায়। 

বিদেশি মেহমানদের জন্য ইজতেমা ময়দানে বিভিন্ন ভাষাভাষী ও মহাদেশ অনুসারে পৃথক তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার এবারের আয়োজন শেষ হলেও, আগামী বছর নতুন উদ্দীপনায় বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহৎ এই ধর্মীয় সমাবেশ আয়োজনের প্রস্তুতি আবারও শুরু হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইজত ম স দপন থ ব শ ব ইজত ম র অন স র

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শনিবার সারাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

নতুন কর্মসূচিতে কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত না হওয়ায় প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটক অনির্দিষ্টকালের জন্য লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।

শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

এতে জানানো হয়, কারিগরি সেক্টরের বৈষম্য ধ্বংস ও ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে মহাসড়কের দুই পাশে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ কর্মসূচি পালন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ