গাইবান্ধায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
Published: 16th, February 2025 GMT
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী ও সবজিবাহী পিকআপে থাকা অজ্ঞাত এক হেলপারের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চাপড়ীগঞ্জ এলাকায় ঢাকাগামী বাসের ধাক্কায় উল্টে যাওয়া পিকআপে থাকা হেলপারের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে রাত ৯টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিতলা নামক এলাকায় সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তারা মিয়া নামে এক মোটসারসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে চাপড়ীগঞ্জ এলাকায় ঢাকাগামী সবজিভর্তি একটি পিকআপ অতিরিক্ত লোডের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কে উল্টে যায়। পরে উল্টে যাওয়া পিকআপকে পেছনে থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপের হেলপারের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার সময় পিকআপ রেখে পালিয়ে যান চালক।
এছাড়া রাত ৯টার দিকে ফাঁসিতলা নামক এলাকায় হঠাৎ করে মোটরসাইকেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই চালক তারা মিয়ার (৩৮) মৃত্যু হয়। পেশায় অটোবাইক চালক তারা মিয়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের মোগলটুলি গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে।
গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ফায়ার ফাইটার আসাদুজ্জামান জানান, নিহত দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ। নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর পরিচয় জানা গেলেও পিকআপের হেলপারের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ন দগঞ জ এল ক য় প কআপ
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যরাতে সাংবাদিককে অবরুদ্ধ, পরে পুলিশে হস্তান্তর
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে মধ্যরাতে জামাল হোসেন (৪৫) নামের এক সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এরপর তাঁকে পুলিশের হস্তান্তর করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের টাউনহল মোড়–সংলগ্ন ফ্ল্যাট রোডে এ ঘটনা ঘটে। একদল তরুণ তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
জামাল হোসেন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। একটি কুরিয়ার সার্ভিসের স্থানীয় পরিবেশক হিসেবেও রয়েছেন তিনি।
জামাল হোসেনের ব্যবসায়িক অংশীদার মো. জিহাদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে তিনি জামাল হোসেনের সঙ্গে নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কয়েকজন তরুণ জামাল হোসেনের কাছে এসে তাঁর পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে আয়োজিত একটি মানববন্ধনের ছবি দেখিয়ে সেখানে জামাল হোসেনের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
মো. জিহাদ আরও বলেন, জামাল হোসেন ওই তরুণদের পরিচয় জানতে চাইলে ইয়াছিন আরাফাত নামের তাঁদের একজন নিজেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির লোক দাবি করেন। এরপর জামাল হোসেনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কারণে আমাদের নেতাদের ফাঁসি হয়েছে।’ জামাল হোসেন তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে আরও কিছু তরুণ সেখানে জড়ো হয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জামাল হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে জানতে চেয়ে আজ বুধবার দুপুরে ইয়াছিন আরাফাত নামের ওই তরুণকে ফোন করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘ভাই এটা সেন্ট্রাল বিষয়। আমি থানায় আছি। এখানে সবাই আছেন।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
জানতে চাইলে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসহাক খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংবাদিক জামাল হোসেনকে কারা অবরুদ্ধ করেছেন কিংবা পুলিশে দিয়েছেন, তা তিনি জানেন না। যাঁদের নাম শুনছেন, তাঁদের তিনি চেনেন না। এ ছাড়া সাংগঠনিকভাবে জামায়াতের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্টভাবে কোনো মামলা নেই। গতকাল মধ্যরাতে লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ছাড়া তখন তাঁকে পুলিশ উদ্ধার না করলে অপ্রীতিকর ঘটনারও আশঙ্কা ছিল। ওসি আরও বলেন, যাঁরা তাঁকে আটক করেছেন, তাঁরা আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। বিষয়টি নিয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।