SunBD 24:
2025-02-22@09:07:50 GMT

রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন আজ

Published: 16th, February 2025 GMT

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আয়কর রিটার্ন দাখিল করার শেষ দিন আজ রোববার। সে হিসাবে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন করদাতারা। তিন দফায় সময় বৃদ্ধি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঘোষণা অনুযায়ী রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় শেষ দিন ১৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।

এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, সারা বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট বন্ধ হবে না। ৩৬৫ দিনই লোকজন দিতে পারবে। নির্ধারিত সময়ে যারা ট্যাক্স রিটার্ন দেবেন, তাদের ট্যাক্স ক্যালকুলেশন এক রকম হবে, আর পরে যারা দিবেন তাদের অটোমেটিক্যালি অতিরিক্ত জরিমানা চলে আসবে। সেটা ধার্যকৃত ট্যাক্সের ওপর প্রতি মাসে ২ শতাংশ। ম্যাক্সিমাম সিলিং ২৪ মাস। আমরা ৪৮ শতাংশের বেশি কারো কাছ থেকে ইন্টারেস্ট নেব না।

গত ৩০ জানুয়ারি আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় তৃতীয় দফায় বৃদ্ধি করে ১৬ ফেব্রুয়ারি করা হয়। একই পৃথক আদেশে কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ মার্চ করা হয়।

এর আগে রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য কোম্পানি ব্যতীত সব শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। গত আগস্ট মাসের পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়েছিল।

এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত সব সরকারি কর্মচারী, সারা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরতদের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়।

২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল ও কর পরিপালন সহজীকরণের লক্ষ্যে এনবিআর গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম (ই-রিটার্ন) করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করে। ওই সিস্টেম দিয়ে নির্ধারিত চার্জ দিয়ে অনলাইনেই আয়কর পরিশোধ করতে পারছেন করদাতারা।

দেশে বর্তমানে এক কোটি ১৫ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) করদাতা রয়েছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪৪ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন, যার মধ্যে মাত্র ৫ লাখ রিটার্ন অনলাইনে জমা দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন।

প্রসঙ্গত, সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে পাঁচ লাখ টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।

এ ছাড়া আরও অনেক কারণে ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হয়। শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই হবে না, বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: র ট র ন দ খ ল কর আয়কর র ট র ন

এছাড়াও পড়ুন:

আইডিইএ প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করবে বিএমটিএফ

নির্বাচন কমিশনের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়) প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর এনসিএস-২৭ ‘মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন, ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত লেখা ‘মুদ্রণ’ এর আওতায় এনসিএস-২৭ (লট-১) হালনাগাদ অগ্রগতি পেশ এবং এনসিএস-২৭ (লট-২) এর ‘সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি’ সংক্রান্ত প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) লিমিটেড।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির পরবর্তী সভায় প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হবে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সভায় সভাপতিত্ব করবেন।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বাস্তবায়নাধীন ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের ‘আরডিপিপি’তে প্যাকেজ এনসিএস-২৭ ‘স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন’, ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত লেখা ‘মুদ্রণ’ হিসেবে একটি প্যাকেজ রয়েছে। প্যাকেজ এনসিএস-২৭ এর আওতায় ১.৭৯ কোটি স্মার্ট কার্ডের পার্সোনালাইজেশন ও বিতরণের সংস্থান রয়েছে যার প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৭.৬৯ কোটি টাকা। চুক্তি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং ক্রয় পদ্ধতি হিসেবে ‘সরাসরি ক্রয়’ উল্লেখ রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ২০১১-২০২২ সাল মেয়াদে বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট মূল আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পটি অধিক নিরাপত্তা সম্বলিত স্মার্ট আইডি সিস্টেম প্রবর্তনের কাজটি সম্পন্ন করে স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেন নাগরিকদের মাঝে বিতরণ কাজ অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে কাজটি চলমান রাখা ও চূড়ান্তভাবে নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের লক্ষ্যে আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পটি গৃহীত হয়েছে এবং উক্ত প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, মূল আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় ফ্রান্সের ওবাথুর টেকনোলজিস (ওটি)-এর সঙ্গে ২০১৫ সালে স্মার্ট কার্ড মুদ্রণ, বিতরণ ইত্যাদি কার্যক্রমের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও চুক্তির মেয়াদে মাত্র ১৪.৩৪ শতাংশ অগ্রগতি সাধিত হওয়ার পর চুক্তিটি বাতিল করা অনিবার্য হয়ে পড়ে। এর ফলে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ, কার্ড মুদ্রণ, বিতরণ সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি এ কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় জরুরি ভিত্তিতে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এর সহায়তায় এ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশনের কারিগরি প্রযুক্তি অর্জন এবং আনুষাঙ্গিক সুবিধা স্থাপন সম্ভব হয়নি। কিন্তু স্মার্ট কার্ডের চাহিদা অব্যাহত থাকায় আইডিইএ (২য় পর্যায়) আরডিপিপি’র এনসিএস-২৭ প্যাকেজটিকে জরুরি প্রয়োজনে এনসিএস-২৭ (লট-১) ও এনসিএস-২৭ (লট-২) এ বিভাজন করা হয়। অতঃপর নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে বিএমটিএফ এর সহায়তায় সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে ইতোমধ্যে দুই ধাপে মোট ১.৫৩৪১ (১.১৫+০.৩৮৪১) কোটি স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন করে মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে।

প্রথমত, ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদে ১.১৫ কোটি এবং দ্বিতীয়ত, ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মেয়াদে ৩৮.৪১ লাখ স্মার্ট কার্ড)। এ অংশটি প্যাকেজের এনসিএস-২৭ (লট-১) করা হয়েছে যা এডিপি’তে অন্তর্ভুক্ত আছে। এ বাবদ আরডিপিপি থেকে মোট ৪৯,০০৫৫ কোটি টাকা পরিশোধের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের ২৮তম সভায় ‘২০২৪ সালের জুন থেকে অবশিষ্ট যে সংখ্যক কার্ড পার্সোনালাইজেশন হবে তার জন্য নতুন করে বিএমটিএফ এর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা যেতে পারে’ মর্মে একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে। ফলে মূল প্যাকেজ এনসিএস-২৭ এর অবশিষ্ট ২৫.৫০ লাখ (বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত ২,৫০ লাখ সহ) স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন কাজটি অনুমোদনক্রমে এনসিএস-২৭ (লট-২) হিসেবে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা (২০২৪-২০২৫) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রয়েছে। ‘সরাসরি ক্রয়’ পদ্ধতিতে ক্রয় কার্য সম্পাদনে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সুপারিশ প্রয়োজন রয়েছে বিধায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানায়।

অবশিষ্ট ২৫.৫৯ লাখ স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত লেখা মুদ্রণ প্রাক্কলিত ব্যয় ৮৬৮.৪৫ লাখ টাকা। এ অবস্থায়, পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬ (২) অনুসারে যেহেতু এনসিএস-২৭ (লট-২) এর প্রাক্কলিত মূল্য ৮৬৮.৪৫ লাখ টাকা এবং ‘সরাসরি ক্রয়’ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে, সেহেতু বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) লিমিটেড এর সঙ্গে সরাসরি চুক্তি সম্পাদনে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সুপারিশ নেওয়ার জন্য প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হবে।

ঢাকা/হাসনাত/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরও ছয় জিম্মিকে ফেরত দেবে গাজা, প্রস্তুত ইসরায়েল
  • ডিসি-ইউএনওদের জন্য কেনা হবে ৫০ জিপ
  • হামাসের হস্তান্তর করা চার মরদেহের একটি কোনো জিম্মির নয়, দাবি ইসরায়েলের
  • চুয়েটে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় সেরা হলেন যাঁরা
  • বিশ্বকাপ ফাইনালের চুমু–কাণ্ডে রুবিয়ালেসের জরিমানা
  • আপেল, কমলা, আঙুরসহ তাজা ফলের শুল্ক–কর কমানোর সুপারিশ
  • শেয়ার স্থানান্তর করবেন আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক আজিমুল ইসলাম
  • গোপালগঞ্জে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের নামে দুদকের মামলা
  • জবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতার মিথ্যা মামলা
  • আইডিইএ প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করবে বিএমটিএফ