কিশোরগঞ্জে কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
Published: 16th, February 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সভা পণ্ড হয়েছে গেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডীপাশা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীরা বলেন, ৩০ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মো.
চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো. বদরুল আলম বলেন, অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। হাসপাতালে খোঁজ নিলে বলা যাবে কতজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ ব এনপ র স ঘর ষ উপজ ল এ ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি
নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এস আই টুটুলের গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানীর রূপনগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মিছিলের পর মিরপুর-১০ গোলচত্বরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেন।
দলটির মিরপুর জোনের নেতাদের অভিযোগ, গত সোমবার রাতে মিরপুরের রূপনগর থানা এলাকায় এনসিপি এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতাকর্মীদের হামলা করেন থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস আই টুটুল ও তার সহযোগীরা। এতে এনসিপির প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ও শামীম আহমেদ গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিন আহমেদসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।
বিক্ষোভে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে রাজনীতিতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও দখলদারির কবর রচনা করতে হবে। রাজনীতিতে সন্ত্রাসী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের জায়গা হবে না। হামলাকারী এস আই টুটুলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। বিএনপির থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তারেক রহমানের কাছে আহ্বান থাকবে, সন্ত্রাসীদের থামান। নইলে এরা বিএনপি ধ্বংস করবে।
বিক্ষোভে অংশ নেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হুসেইন, সংগঠক এম এম শোয়াইব, সদস্য ইমরান নাঈম ও জায়েদ বিন নাসের, হামলায় আহত ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় সহ-মুখপাত্র ফারদিন হাসান।