ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে করণীয়
Published: 16th, February 2025 GMT
প্রকৃতিতে এখন দিনে গরম রাতে ঠান্ডা। এই পরিস্থিতিতে কম, বেশি সব বয়সের মানুষ রোগে ভুগছেন। বিশেষ করে ‘ডাস্ট অ্যালার্জি’ সংক্রমণে ঘরে ঘরে ছড়িয়েছে পড়েছে। দেখা দিয়েছে সর্দি, কাশি ও জ্বরের প্রকোপ। চিকিৎসকেরা বলেন, বাতাসে যেসব ধুলাবালি, বালুকণা, বিভিন্ন ধোঁয়া, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও কেমিক্যাল থাকে এগুলো ডাস্ট। এসব ডাস্ট নাসারন্ধ্রের বা চোখের সংস্পর্শে আসে তখন অনেকের অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হয়ে থাকে। প্রথমে সামান্য রিঅ্যাকশন হয়, এরপর যখন আবার নাক কিংবা চোখের সংস্পর্শে ডাস্ট আসে তখন অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন বেশি দেখা দেয়।
ডাস্ট অ্যালার্জির উপসর্গ
নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়ে। প্রথমে কম হয় এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে
অনবরত হাঁচি হয়
আক্রান্তদের কারও সর্দি হয়, কারও কাশি হয়
রোগীর বুক চেপে আসে
ডাস্ট শ্বাসনালীর নিচের দিকে এলে অনেকের অ্যাজমার প্রবণতাও দেখা দিতে পারে
ডাস্ট অ্যালার্জির প্রভাবে অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে
ভারতীয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুবল দত্ত’র পরামর্শ—
হাঁচির সময় রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে
হাতের কাছে টিস্যু বা রুমাল না থাকলে হাতের কনুই বাঁকা করে তা দিয়ে নাক-মুখ ঢাকতে হবে।
এই সময় ফুলহাতা শার্ট বা জামা পরতে হবে
আরো পড়ুন:
ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে ‘হৃদয়’এর যত্ন নিচ্ছেন তো?
ভারতীয় হাসপাতালে বাংলাদেশি পোস্টার, তুমুল বিতর্ক
এ ছাড়াও আরও কিছু নিময় মানা জরুরি। যেমন প্রতিদিনের ব্যবহৃত পোশাক নিয়মিত ধুতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিতে পারলে ভালো। এসব টিকা অ্যালার্জি কমাতে সরাসরি প্রভাব ফেলে না কিন্তু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।