প্রকৃতিতে এখন দিনে গরম রাতে ঠান্ডা। এই পরিস্থিতিতে কম, বেশি সব বয়সের মানুষ রোগে ভুগছেন। বিশেষ করে ‘ডাস্ট অ্যালার্জি’ সংক্রমণে ঘরে ঘরে ছড়িয়েছে পড়েছে। দেখা দিয়েছে সর্দি, কাশি ও জ্বরের প্রকোপ। চিকিৎসকেরা বলেন, বাতাসে যেসব ধুলাবালি, বালুকণা, বিভিন্ন ধোঁয়া, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও কেমিক্যাল থাকে এগুলো ডাস্ট। এসব ডাস্ট নাসারন্ধ্রের বা চোখের সংস্পর্শে আসে তখন অনেকের অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হয়ে থাকে। প্রথমে সামান্য রিঅ্যাকশন হয়, এরপর যখন আবার নাক কিংবা চোখের সংস্পর্শে ডাস্ট আসে তখন অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন বেশি দেখা দেয়। 

ডাস্ট অ্যালার্জির উপসর্গ 
নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়ে। প্রথমে কম হয় এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে
অনবরত হাঁচি হয়
আক্রান্তদের কারও সর্দি হয়, কারও কাশি হয়
রোগীর বুক চেপে আসে
ডাস্ট শ্বাসনালীর নিচের দিকে এলে অনেকের অ্যাজমার প্রবণতাও দেখা দিতে পারে
ডাস্ট অ্যালার্জির প্রভাবে অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে

ভারতীয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুবল দত্ত’র পরামর্শ—
 হাঁচির সময় রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে
হাতের কাছে টিস্যু বা রুমাল না থাকলে হাতের কনুই বাঁকা করে তা দিয়ে নাক-মুখ ঢাকতে হবে।
এই সময় ফুলহাতা শার্ট বা জামা পরতে হবে

আরো পড়ুন:

ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে ‘হৃদয়’এর যত্ন নিচ্ছেন তো?

ভারতীয় হাসপাতালে বাংলাদেশি পোস্টার, তুমুল বিতর্ক

এ ছাড়াও আরও কিছু নিময় মানা জরুরি। যেমন প্রতিদিনের ব্যবহৃত পোশাক নিয়মিত ধুতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিতে পারলে ভালো। এসব টিকা অ্যালার্জি কমাতে সরাসরি প্রভাব ফেলে না কিন্তু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ধানমন্ডিতে র‌্যাব পরিচয় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬

রাজধানীর ধানমন্ডিতে র‌্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করা হয়েছে। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও নগদ টাকাসহ ডাকাতদলের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টার থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তার ছয় জন হলো— ফরহাদ বীন মোশারফ, ইয়াছিন হাসান, মোবাশ্বের আহাম্মেদ, ওয়াকিল মাহমুদ, আবদুল্লাহ এবং সুমন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ‘RAB’ লেখাসম্বলিত কালো রঙের দুটি জ্যাকেট, তিনটি কালো রঙের ‘RAB’ লেখাসম্বলিত ক্যাপ, একটি মাইক্রোবাস, পাঁচটি মোবাইল ফোন, একটি লোহার তৈরী ছেনি, একটি পুরাতন লাল রঙের স্লাই রেঞ্জ এবং নগদ ৪৫ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

ধানমন্ডি থানা সূত্রে জানা গেছে, ধানমন্ডিতে এম এ হান্নান আজাদের ‘অলংকার নিকেতন জুয়েলার্স’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ধানমন্ডি শাখার গলিতে নিজ বাড়ির নিচতলা, তৃতীয় তলা ও চতুর্থ তলায় এস এম সোর্সিং নামীয় প্রতিষ্ঠানের অফিস আছে। এছাড়া, ওই বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় একটি কনসালট্যান্সি অফিস এবং পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলা নিয়ে এম এ হান্নান আজাদের ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট আছে। বুধবার (২৬ শে মার্চ) ভোরে  তিনটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকারে করে ডাকাতরা দলবদ্ধভাবে ওই বাসার সামনে এসে ফটকে দায়িত্ব পালনরত নিরাপত্তাকর্মীদের বলে যে, তারা র‌্যাবের লোক, তাদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। তারা বাড়িতে অভিযান চালাবে বলে তাড়াতাড়ি গেট খুলতে বলে। তাদের কয়েকজনের গায়ে ‘RAB’ লেখাসম্বলিত কটি ছিল। নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। তখন ডাকাতরা নিরাপত্তাকর্মীদের গালাগালি করতে থাকে এবং গেট না খুললে হত্যার হুমকি দেয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন গেটের ওপর দিয়ে উঠে জোর করে গেট খুলে ফেলে। এরপর তারা সবাই জোর করে বাড়ির ভেতরে ঢুকে নিরাপত্তাকর্মী, বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ও গাড়িচালককে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর তারা নিচতলার অফিসের গেট ভেঙে পিয়নকে মারধর করে এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ৪৫ হাজার ১০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। 

এরপর ডাকাতরা তৃতীয় তলায় গিয়ে এস এম সোর্সিংয়ের অফিসের গেট ভেঙে ফেলে। গেট ভাঙার শব্দ পেয়ে চতুর্থ তলায় থাকা এস এম সোর্সিংয়ের তিন জন অফিস সহকারী তৃতীয় তলায় নেমে আসেন। ডাকাতরা তখন তাদের আটকে মারধর করে অফিসের চাবি ও বাসার চাবি দিতে বলে। ডাকাতরা জোর করে চাবি নিয়ে তৃতীয় তলার অফিসের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে এবং অফিসের ড্রয়ার ভেঙে নগদ ২২ লাখ টাকা লুট করে ও অফিসের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তাদের আরেকটি দল চতুর্থ তলার অফিসের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ ১৩ লাখ টাকা লুট করে। এরপর তারা মালিক এম এ হান্নান আজাদের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণের দুল ও চেইনসহ আনুমানিক ২.৫ ভরি স্বর্ণ (যার দাম ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা) লুট করে। এরপর তারা মালিক এম এ হান্নানকে জোর করে নিচে নিয়ে গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করে। তখন ধানমন্ডি থানার একটি টহল টিম ওই বাড়ির সামনে হাজির হয়ে ডাকাতদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ডাকাতরা তাদের হাতে থাকা ছেনি ও রেঞ্জ  দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। তখন আশেপাশে থাকা লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। 

এ ঘটনায় ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও মালিকের ভাগ্নে তৌহিদুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার ছয় জনসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিরতিহীন রোজা রাখা কি বৈধ
  • আশ্রয় নিয়ে খেয়ে দেয়ে ৪ শিশুসহ চম্পট, পরে ওই নারীকে আটক
  • অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে শিডিউল মেসেজ পাঠাবেন যেভাবে
  • লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া
  • উয়েফা, ফিফা ও লা লিগা কর্তৃপক্ষকে ধুয়ে দিলেন কুন্দে
  • হামজার চোট ও চেইন রিঅ্যাকশন
  • নিখোঁজের দুই দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
  • ঈদের ছুটিতে ক্রিকেটাঙ্গন
  • রংপুর মেডিকেলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, ‘রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস’ চেয়ে শিক্ষার্থীদের বিবৃতি
  • ধানমন্ডিতে র‌্যাব পরিচয় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬